বিএনপি-জামায়াতের তিনদিনের অবরোধের শুরু হওয়ার আগের রাত থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারির মধ্যেও চট্টগ্রাম নগরীতে যাত্রীবাহি বাসে আগুন দেয়ার খবর পাওয়া গেছে।
গতকাল রাত পৌণে ১০ টা থেকে সকাল ৬টার মধ্যে নগরীর জিওসি মোড়, টেনারি বটতল ও সল্টগোলা ক্রসিং এলাকায় পৃথক তিনটি স্থানে বাসে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। তাছাড়া নগরীর সিটি গেইট এলাকায় গাড়ি ভাঙচুরের খবর পাওয়া গেছে।
খবর নিয়ে জানা গেছে, মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯ টার সময় চট্টগ্রাম নগরীর সিটি গেইট এলাকায় একটি প্রাইভেট কার ভাঙচুর করেছে অবরোধে সমর্থণকারীরা।
এর আগে সকাল ৬টার দিকে নগরের ইপিজেড থানার সল্টগোলা ক্রসিং এলাকায় দুই যুবক যাত্রী সেজে বাসে উঠে ওই বাসেই আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। তবে এতে কোনো হতাহত হয়নি।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে গিয়ে প্রায় আধঘণ্টা চেষ্টা করে বাসের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় জানালেন আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ সহকারী পরিচালক মো. আবদুর রাজ্জাক।
এদিকে যাত্রীবেশে গাড়িতে আগুন দেয়া যুবকদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে বললেন ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হোসাইন। তিনি বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এর আগে সোমবার (৩০ অক্টোবর) দিবাগত রাত তিনটার দিকে নগরের অক্সিজেন-হাটহাজারী সড়কের টেনারি বটতলা এলাকায় রাস্তার পাশে পার্কিং করা চট্টমেট্টো-জ-১১-০৫৩৭ নাম্বারের একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা।
পরে খবর পেয়ে বায়েজিদ ফায়ার স্টেশনের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে ১৮ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এতে তিন লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে জানালেন বায়েজিদ ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. কামরুজ্জামান।
তারও আগে গতকাল সোমবার (৩০ অক্টোবর) রাত পৌণে ১০ টার দিকে নগরের জিওসি মোড়ের গরীবুল্লাহ শাহ বাস কাউন্টারের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা সিটি রুটের ৪ নম্বর বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের আগ্রাবাদ স্টেশন থেকে দুইটি অগ্নিনির্বাপণকারী গাড়ি ঘটনাস্থলে গিয়ে সোয়া দশটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
অবরোধে নগরীতে যান চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দূর পাল্লার বাস চলাচল কম দেখা গেছে। শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় নগরজুড়ে ও নগরীর প্রবেশমুখে মোতায়েন করা হয়েছে পর্যাপ্ত পুলিশ ও বিজিবি।
জেএন/রাজীব