ন্যাশনাল কার্ড স্কিম ‘টাকা পে’ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে এই কার্ড উদ্বোধন করেন তিনি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালে নিবার্চনী ইশতেহারে প্রতিশ্রুতি ছিলো ডিজিটাল বাংলাদেশ নিমার্ণে, আর এখন ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমান করতে চায় সরকার। আর এরই ধারাবাহিকতায় স্মার্ট সরকার ও ক্যাশলেশ সোসাইটি করার উদ্যোগ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণাধীণ এই টাকা পে কার্ড চালুর মাধ্যমে দেশের প্রযুক্তির মাধ্যমে আর্থিক লেনদেনের পথ আরো সুগম হলো বলেও জানান তিনি।
এর সুবিধা যাতে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীসহ প্রবাসীরাও নিতে পারে সেই বিষয়েও পদক্ষেপ নেবার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এরই মধ্যে টাকা পে কার্ড পদ্ধতি ব্যবহারের জন্য ১৩টি ব্যানিজ্যিক ব্যাংক সিদ্ধান্ত নিলেও চালু করেছে সরকারী বেসরকারী মিলিয়ে তিনটি বানিজ্যিক ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে চালু হওয়া এই কার্ড ভিসা কার্ড, মাস্টারকার্ড ও অ্যামেক্সের মতো আন্তর্জাতিক কার্ড সেবার একটি স্থানীয় বিকল্প। পুরোপুরি দেশীয় মধ্যস্থতায় চলবে এই সেবা।
বিদেশি কার্ডের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের উদ্দেশ্যে এই টাকা পে কার্ড চালু করা হয়।
প্রাথমিকভাবে রাষ্ট্রমালিকানাধীন সোনালী ব্যাংক, বেসরকারি খাতের সিটি ব্যাংক ও ব্র্যাক ব্যাংক টাকা পে কার্ড সেবা চালু করছে। পরবর্তীতে অন্য ব্যাংকগুলোও টাকা পে কার্ড চালু করবে।
দেশের সব এটিএম, পয়েন্টস অব সেলস ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে এই কার্ড ব্যবহার করা যাবে। শুরুতে টাকা পে ডেবিট কার্ড হিসেবে ব্যবহার করা গেলেও ভবিষ্যতে ক্রেডিট কার্ডও আসবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
আপাতত বাংলাদেশের মধ্যে এই সেবা চালু হলেও ভবিষ্যতে টাকা পে কার্ড ভারতে ব্যবহার করা যাবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
জেএন/পিআর