বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম নগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলছে ঢিলে-ঢালা ভাবেই।
তবে হরতাল শুরুর আগেই পতেঙ্গায় একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ভোর পৌনে ৫টার দিকে পতেঙ্গা থানার কাটঘর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে আগুন দেওয়ার সময় বাসে কেউ না থাকায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
রবিবার সকাল নয়টায় নগরীর ২ নম্বর গেট এলাকায় উত্তর জেলা বিএনপির একটি মিছিল ছাড়া নগরজুড়ে বিএনপির কর্মীদের হরতালের সমর্থনে পিকেটিং করতে দেখা যায়নি কর্মীদের।
এমনকি দলটির প্রধান কার্যালয় কাজির দেউড়ি নাসিমন ভবন ছিল ফাঁকা। আশে পাশেও নেই কোনো কর্মীর উপস্থিতি। দুপুর পর্যন্ত কার্যালয়ে ঝুলতে দেখা গেছে তালা।
এদিকে অন্যান্য দিনের তুলনায় ব্যক্তিগত গাড়ির উপস্থিতি কিছুটা কম থাকলেও স্বাভাবিকভাবেই চলতে দেখা গেছে অটোরিকশা, টেম্পো, বাসসহ ছোট-বড় যানবাহন। কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ছিলো চিরচেনা সেই যানজট।
নগরীর বকশিবিট থেকে সিএনজি করে বহদ্দারহাট যাচ্ছিলেন যাত্রী আবুল মনসুর। আন্দরকিল্লার মোড়ে তার কাছে হরতাল সম্পর্কে জানতে চাইলে সে হেসে বলেন, কোথায় হরতাল। জ্যামে বসে আছি প্রায় ১৫ মিনিট। সামনে পিছে দেখেন কত গাড়ি।
নিউমার্কেট মোড়ে কথা হয় কাস্টমসে কর্মরত লাকী আক্তারের সাথে। সে জানালেন আজ যে চট্টগ্রামে হরতাল চলছে তা মনেই হচ্ছে না। অন্যান্য দিনের মতোই পাথরঘাটা থেকে রিকশায় এসে মার্কেট থেকে ৬ নাম্বারে বাসে উঠলাম। কোন সমস্যা চোখে পড়েনি।
এদিকে চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার উদ্দেশে নগর থেকে ছেড়ে যাচ্ছে যানবাহন,যাত্রী নিয়ে আবারও ফিরছে নগরে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উপজেলা পর্যায়ে কোথাও কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। তবে দুর পাল্লার বাস তেমন চোখে পড়েনি।
দুরপাল্লার যাত্রী কম থাকায় গাড়ি চলছে না জানালেন সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের চট্টগ্রাম অঞ্চলের সভাপতি মোহাম্মদ মুছা। তিনি বলেন, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চট্টগ্রামের পটিয়া, আনোয়ারা, বোয়ালখালী, বাঁশখালী ও লোহাগাড়াসহ বিভিন্ন উপজেলায় স্বাভাবিকভাবেই বাস চলাচল করেছে। কোথাও কোন ধরনের সমস্যা হয়নি।
সড়ক মহাসড়কগুলোতে আইন-শৃংখলা বাহিনী টহল দিতে দেখা গেছে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্পটে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনগুলোকে হরতালবিরোধী সভা সমাবেশ করতে দেখা গেছে।
জেএন/রাজীব