হাতিয়ার মেঘনা নদী সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে এফ বি নিহা নামের একটি ট্রলারে ধরা পড়েছে ৩০০টি বিশাল আকারের পাঙাশ মাছ। এসব মাছ নিলামে ৬ লাখ টাকায় বিক্রি করতে পেরে উচ্ছ্বসিত জেলেরা।
রোববার (৫ নভেম্বর) বেলা ১২টার দিকে হাতিয়ার চেয়ারম্যান ঘাটের সাদিয়া ফিশ এজেন্সি নিলামে এসব পাঙাশ বিক্রি করে।
জানা যায়, ২ নভেম্বর রাতে হাতিয়া থেকে ২১ জন জেলে নিয়ে বঙ্গোপসাগরে যায় এফ বি নিহা নামের একটি মাছের ট্রলার। তারপর বঙ্গোপসাগরে তাদের জালে প্রচুর পাঙাশ ধরা পড়ে। রোববার সকাল নয়টার দিকে তারা হাতিয়ার চেয়ারম্যান ঘাটে আসে। ঘাটের সাদিয়া ফিশ এজেন্সি এসব পাঙাশ মাছ নিলামে ৬ লাখ টাকায় বিক্রি করেন।
ট্রলারের মালিক সামছুদ্দিন মাঝি বলেন, আমরা ২১জন জেলে হাতিয়ার জাহাজমারা ইউনিয়ন থেকে মাছ ধরতে নেমেছি। দুই দিনে ৩০০টা পাঙাশ মাছ ধরতে পেরে আমরা আনন্দিত। আল্লাহ আমাদের ভালো মাছ দিয়েছেন। মাছগুলো ৬ লাখ টাকায় বিক্রি করেছি।
ট্রলারের আবুল কাশেম মাঝি বলেন, একসঙ্গে ৩০০ পাঙাশ পেয়ে আমরা খুশি। গতবছরও আমাদের এমন মাছ ধরা পড়েছিল। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া।
সাদিয়া ফিশ এজেন্সির স্বত্বাধিকারী মো. সালাউদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এফ বি নিহা নামের ট্রলারের মালিকের বাড়ি আমাদের হাতিয়ায়। তারা মাছ পেয়ে আমাদের চেয়ারম্যান ঘাটে চলে আসে। ৩০০ পাঙাশ নিলামে আমরা ৬ লাখ টাকায় বিক্রি করেছি।
চেয়ারম্যান ঘাটের আড়তদার আবদুর রহমান রনি বলেন, সবার ভাগ্য এমন না। একসঙ্গে এতো পাঙাশ দেখে ভালো লাগছে। জেলেরা সত্যিই ভাগ্যবান। অবরোধে গাড়ি চলাচল অসুবিধা হওয়ায় ব্যাপারীরা ভালো দাম পাচ্ছেন না।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ((ইউএনও) সুরাইয়া আক্তার লাকী বলেন, আমাদের ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞায় মা ইলিশ রক্ষায় নিয়মিত অভিযান ছিল। যারা আইন অমান্য করেছে তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জেল জরিমানাও করা হয়েছে। আমি মনে করি যেকোনো অভিযান সফল হলে মাছের প্রাচুর্য বৃদ্ধি পায়। এক ট্রলারে ৩০০ পাঙাশ পাওয়ায় আমরাও আনন্দিত।
জেএন/এমআর