দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রাক্কালে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে বঙ্গভবনে পৌঁছেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সৌজন্য সাক্ষাতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে রয়েছেন চার নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশন সচিব।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) সকাল ১১টা ৫৫ মিনিটে চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিবকে নিয়ে বঙ্গবভবনে প্রবেশ করেছেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল।
তবে সিইসি, চার নির্বাচন কমিশনার ব্রিগ্রেডিয়ার (অব.) মো. আহসান হাবীব খান, রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর ও মো. আনিছুর রহমান এবং ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম ভিন্ন ভিন্ন গাড়িতে করে রাষ্ট্রপতির সরকারি বাসভবনে প্রবেশ করেন।
রেওয়াজ অনুযায়ী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে এ সংক্রান্ত সার্বিক প্রস্তুতি বিষয়ে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করে থাকে ইসি।
আজকের সৌজন্য সাক্ষাতেও ইসি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি, নির্বাচন তফসিল ঘোষণার তারিখ এবং নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখের বিষয়ে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করা হবে ইসির পক্ষ থেকে।
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে এর আগে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাষ্ট্রপতিকে নির্বাচনের প্রস্তুতি সংক্রান্ত সব ধরনের অগ্রগতি বিষয়ে অবহিত করা হবে।
প্রস্তুতি নিয়ে রাষ্ট্রপতির কোনো পরামর্শ ও নির্দেশনা থাকলে তা কমিশন শুনবে। তবে তফসিল ঘোষণার এখতিয়ার সম্পূর্ণ নির্বাচন কমিশনের। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের পর কমিশন সভা করে তফসিলের তারিখ চূড়ান্ত করা হবে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর। নির্বাচনের পর সংসদের প্রথম অধিবেশন বসে ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী অনুযায়ী, সংসদের প্রথম অধিবেশন বসার দিন থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে ভোটগ্রহণ করতে হবে।
এই হিসাবে ৯০ দিনের নির্বাচনের দিন গণনা শুরু হয়েছে গত ৩১ অক্টোবর থেকে। একই হিসাবে আগামী ২৮ জানুয়ারির মধ্যে সংসদ নির্বাচনের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
এ অবস্থায় দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে দলগুলোর মধ্যে মতভেদ থাকলেও নির্বাচন কমিশন সেই বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন করতে বদ্ধপরিকর। নির্বাচন আয়োজনের যাবতীয় প্রস্তুতিও তারা গুছিয়ে এনেছে।
জেএন/পিআর