মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী জামায়াতে ইসলামীকে পরিহার করার আহ্বান জানিয়েছেন শোলাকিয়ার ঈদগাহের খতিব ফরীদ উদ্দীন মাসঊদসহ ১০১ আলেম।
শুক্রবার (২৩ নভেম্বর) বিকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। ১০১ জন আলেমের স্বাক্ষর সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়, ১৯৭১ সালে মওদুদীবাদী জামায়াতে ইসলামী ইসলামের নাম ভাঙিয়ে এ দেশের সাধারণ নারী-পুরুষকে নিমর্মভাবে হত্যা করেছে। জ্বালিয়ে দিয়েছে হাজার হাজার ঘরবাড়ি। দেশের সর্বত্র জামায়াতি বর্বরতার চিহ্ন লেপ্টে আছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী এই জামায়াতকে কোনোভাবেই নির্বাচনে জয়ী করা যাবে না।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হওয়ার পর থেকে দেশের মানুষের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ইসলামের ভাবাদর্শ নতুনভাবে জাগরিত হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, জামায়াতিরা জ্বালাও পোড়াওয়ে বিশ্বাসী। এরা সুযোগ পেলেই রক্ত নিয়ে খেলতে জানে। এদের কারণেই কওমি মাদ্রাসার কোনো উন্নতি হয়নি। কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতির বিষয়টিও ঝুলে ছিল। এরা মসজিদে মসজিদে ফাসেক লোকদের বসাতে চায়। দেশকে পাকিস্তানের মতো একটি অকার্যকর রাষ্ট্র বানাতে তৎপর রয়েছে এরা।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার চেয়ারম্যান ও শোলাকিয়ার খতিব ফরীদ উদ্দীন, রামপুরা তাকওয়া মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা আবদুর রহীম কাসেমী, মহাখালী সেন্ট্রাল মসজিদের খতিব মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাইফী, খুলনার খালিশপুর জামিয়া আশরাফিয়ার মুহতামিম মুফতি আবুল কাসেম, জামিআ ইকরা বাংলাদেশ ঢাকার মুহতামিম মাওলানা আরীফ উদ্দীন মারুফ, রংপুর ধনতোলা মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা হোসাইন আহমদ, দিনাজপুরের বীরগঞ্জ ফয়জে আম মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা আইয়ুব আনসারী, খুলনা মাদানীনগর মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা ইমদাদুল্লাহ কাসেমী প্রমুখ।