বিশ্বকাপে নিয়মরক্ষার ম্যাচে শুরুর দিকে ব্যাটিংয়ে বিপর্যয়ে পড়লেও শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকাকে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্যই দিয়েছিল আফগানিস্তান ।
এরপর লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই আফগান বোলারদের চাপের মুখে পড়েছিল প্রোটিয়ারা। তবে শেষ পর্যন্ত রাসি ভন ডার ডুসেনের ব্যাটে ভর করে আফগানিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৪৪ রানের পুঁজি দাঁড় করায় আফগানরা। জবাবে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৪৭ দশমিক ৩ ওভারে ৫ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে প্রোটিয়ারা।
চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দারুণ শুরু করেন দুই ওপেনার বাভুমা ও ডি কক। প্রথম পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়েই ৫৭ রান তোলে প্রোটিয়ারা। তবে এই জুটিকে খুব বেশি দূর আগাতে দেয়নি আফগানরা। ইনিংসের ১১তম ওভারে ২৮ বলে ২৩ রানে থাকা বাভুমাকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন রিস্ট স্পিনার মুজিব।
প্রোটিয়া অধিনায়কের বিদায়ের পরপরই ফেরেন ডি-ককও। তাকে লেগবিফোরের ফাঁদে ফেলেন নবি। ডি-ককের বিদায়ে কিছুটা বিপদে পড়ে প্রোটিয়ারা।
এরপর ইনিংস মেরামতের কাজ শুরু করেন ভ্যান ডার ডুসেন ও মারকরাম। ৬০ বলে ৫০ রানের জুটি গড়ে বিপর্যয় থেকে দলকে টেনে তোলেন তারা। তবে দলীয় ১১৬ রানে ২৫ রান করা মার্করামকে ফেরান রশিদ খান। এরপর ক্লাসেনও বেশিক্ষণ ক্রিজে স্থায়ী হননি। মাত্র ১০ রান করে রশিদের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন এই ব্যাটার।
শেষ দিকে ফেলুকায়োর ৩৭ বলে ৩৯ রানের ক্যামিও এবং ডুসেনের অপরাজিত ৭৬ রানে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় প্রোটিয়ারা।
এর আগে, ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ধীরস্থির হলেও আস্তে আস্তে রানের গতি বাড়াতে থাকে আফগানরা। ওপেনিং জুটিতে ৪১ রান তুললেও ৪৫ রানের মধ্যেই তিন উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় রশিদ-নবিরা।
এরপর অল্প রানের মধ্যেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কাও জেগেছিল। তবে আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের নৈপুণ্যে শেষ পর্যন্ত তা আর হয়নি।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে আজমত ও রহমত শাহ মিলে ৪৫ রান যোগ করেন। এরপর ৪৬ বলে ২৬ রানে ফেরেন রহমত। তবে এরপর ক্রিজে নেমে খুব বেশি সময় থিতু হতে পারেননি ইকরাম আলি। তার ব্যাট থেকে আসে মাত্র ১২ রান। এরপর মাত্র ২ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন মোহাম্মদ নবি।
দুর্দান্ত শুরু করলেও ১৪ রানেই থেমেছেন রশিদ খান। তবে আজমতকে সঙ্গ দিয়ে ৩২ বলে ২৬ রানে দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন নূর আহমেদ।
অষ্টম উইকেট জুটিতে ৪৪ রান যোগ করেন তারা। এরপর ৮ রান করেই সাজঘরে ফেরেন মুজিব।
শেষ পর্যন্ত নাভিনকে সঙ্গে নিয়ে স্কোরবোর্ডে রান যোগ করার লড়াইয়ে ৩ ছক্কা ও ৭ চারে ১০৬ বলে ৯৭ রান করে অপরাজিত ছিলেন আজমত।
প্রোটিয়াদের হয়ে জেরাল্ড কোয়েটজি চারটি, লুঙ্গি এনগিদি ও কেশভ মহারাজ দুটি করে এবং আন্দিলে ফেহলুকায়োর শিকার এক উইকেট।
প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ নির্বাচন হন ভ্যান ডার ডুসেন।
জেএন/আর এস