গাজায় গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে ৪২ দিন ধরে ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় প্রাণহানির সংখ্যা ১২ হাজার ছাড়িয়েছে। এরমধ্যে শিশু এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের সংখ্যা অন্তত ৫ হাজার।
সেখানকার সরকারি মিডিয়া অফিসের মহাপরিচালক ইসমাইল থাওয়াবতা এই তথ্য জানিয়েছে। খবর: আল জাজিরার।
ইসমাইল থাওয়াবতা বলেন, ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো এক হাজার ৮০০ শিশুসহ তিন হাজার ৭৫০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। চিকিৎসক, নার্স ও প্যারামেডিক মিলিয়ে অন্তত ২০০ জন নিহত হয়েছেন। সেইসঙ্গে সিভিল ডিফেন্স দলের ২২ সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে।
ইসমাইল থাওয়াবতা জানান, ইসরায়েলের হামলায় ৫১ সাংবাদিক ও গণমাধ্যম প্রতিনিধি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৩০ হাজারেরও বেশি, যাদের ৭৫ শতাংশই নারী ও শিশু। প্রায় ২৫টি হাসপাতাল ও ২৫০ চিকিৎসা সেবাকেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি জানান, কমপক্ষে ৫৫টি অ্যাম্বুলেন্স ধ্বংস হয়েছে। ৯৫ হাজারেরও বেশি সরকারি স্থাপনা বিধ্বস্ত হয়েছে।
ইসমাইল থাওয়াবতা আরো জানান, ইসরায়েলি বাহিনী কমপক্ষে ৫৭টি মসজিদ সম্পূর্ণ গুঁড়িয়ে দিয়েছে এবং ১৬৫টি মসজিদ আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চার্চ ধ্বংস হয়েছে কমপক্ষে তিনটি।
গত ৪২ দিনের এই অভিযানে এখন পর্যন্ত কোনো বিরতি দেয়নি ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, রাশিয়া, চীনসহ বিভিন্ন দেশ এবং জাতিসংঘ ইসরায়েলকে নিয়মিত মানবিক বিরতি অথবা যুদ্ধবিরতি ঘোষণার জন্য চাপ দিচ্ছে ইসরায়েলকে, কিন্তু তা আমলে না নিয়ে ইসরায়েল জানিয়েছে— হামাসকে নির্মূলের আগ পর্যন্ত এই অভিযান চলবে।
জেএন/পিআর