# বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় সম্পাদক হলেন আ.জ.ম নাছির
# ২৩ পদে লড়ছেন ৪৯ জন
আগামী ২৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে বহু আকাঙ্ক্ষিত চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার (সিজেকেএস) নির্বাচন। যেখানে ২৫২ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। এ নির্বাচনে ২৩ পদে ৪৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। নির্বাচন ঘিরে চলছে উৎসবমুখর জমজমাট প্রচারনা।
তবে নির্বাচনের আগে ২১ জন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করায় প্রতিদ্বন্দ্বীতার তালিকা ছোট হয়ে এসেছে। এরমধ্যে চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থায় চতুর্থ বারের মত সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলেন বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন। এ নিয়ে টানা তিনবার তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলেন। আ জ ম নাছির উদ্দিন সাবেক চসিক মেয়র, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং জয়নিউজ বিডির চেয়ারম্যান।
এবারের নির্বাচনে আ. জ. ম. নাছির উদ্দীন ছাড়াও তিনজন সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনয়ন নিয়েছিলেন। কিন্তু দিদারুল আলম চৌধুরী এবং রাশেদুল আলম তাদের মনোনয়ন জমা দেননি। এফএমসি স্পোর্টসের জাফির ইয়াসিন চৌধুরী মনোনয়ন জমা দিলেও পরে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। ফলে আ.জ.ম নাছির উদ্দিন বিনা বাধায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত
হয়ে গেলেন।
তবে অন্য পদ গুলোতে নির্বাচন হচ্ছে। সহ সভাপতি পদে নির্বাচনে লড়বেন তাহের উল আলম চৌধুরী স্বপন, এ কে এম এহেছানুল হায়দর চৌধুরী বাবুল, এডভোকেট শাহীন আফতাবুর রেজা চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাশেম, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আবুল বশর, মোঃ হাফিজুর রহমান, দিদারুল আলম চৌধুরী, শাহজাদা আলম, মকসুদুর রহমান বুলবুল এবং মফিজুর রহমান।
অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক পদে ৩ জন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। তাঁরা হলেন- বর্তমান অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শাহাবুদ্দিন শামীম, বর্তমান যুগ্ম সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী এবং এস এম শহীদুল ইসলাম।
যুগ্ম সম্পাদক পদে ৩ প্রার্থী রয়েছেন। তারা হলেন চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালক ও জয়নিউজ বিডি’র প্রকাশক ও সম্পাদক ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব অহীদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন, আমিনুল ইসলাম ও সরোয়ার আলম চৌধুরী মনি।
চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার একাধিক সদস্যরা জানিয়েছেন, অহীদ সিরাজ চৌধুরী স্বপনের ক্রীড়া অঙ্গনে ব্যাপক অবদান রয়েছে। এছাড়া পরিচ্ছন্ন ব্যক্তিত্ব হিসেবে তিনি পরিচিত। আন্তর্জাতিক সার্ক মানবাধিকার সংস্থাসহ বিভিন্ন সংগঠনে তাঁর দক্ষ নেতৃত্ব রয়েছে। তাই যুগ্ম সম্পাদক পদে অহীদ সিরাজ চৌধুরী স্বপনের জয়ের ব্যাপারে তাঁরা আশাবাদী।
কোষাধ্যক্ষ পদে প্রার্থী রয়েছেন দুজন। তারা হলেন আ.ন.ম. ওয়াহিদ দুলাল এবং বর্তমান কোষাধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন মোঃ জাহাঙ্গীর।
নির্বাহি সদস্যের ১৩ টি পদে প্রার্থী রয়েছেন ২৮ জন। তারা হলেন প্রবীন কুমার ঘোষ, সাইফুল আলম খান, সৈয়দ মোহাম্মদ তানসীর, এ এস এম ইকবাল মোরশেদ, আখতারুজ্জামান, আলমগীর পারভেজ, মোহাম্মদ দিদারুল আলম, অনুপ বিশ্বাস, হারুন আল রশিদ, এ এস এম সাইফুদ্দিন চৌধুরী, সাহেলা আবেদীন রীমা, ইঞ্জিনিয়ার জর্নিম উদ্দিন, শওকত হোসাইন, রাশেদুর রহমান মিলন, নাসির মিয়া, রায়হান উদ্দিন রুবেল, জহির আহমেদ চৌধুরী, মোহাম্মদ শাহজাহান, ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, মোঃ মুজিবুর রহমান, এ কে এম আবদুল হান্নান আকবর, গোলামনমহিউদ্দিন হাসান, কল্লোল দাশ, দিদারুল আলম মাসুম, সুমন দে, এনামুল হক, হাসান মুরাদ বিপ্লব, এম এ মুর্ছা বাবলু।
উপজেলার সংরক্ষিত দুটি সদস্য পদের জন্য নির্বাচন করবেন তিনজন। তারা হলেন প্রদীপ কুমার ভট্টচার্য্য, মোহাম্মদ জাফর ইকবাল এবং মোঃ জাহিদুল ইসলাম। তবে সংরক্ষিত দুটি মহিলা সদস্য পদের জন্য দুঞ্জনই প্রার্থী থাকায় সে পদে নির্বাচন হবেনা। এই পদের দুজন প্রার্থী হলেন রেজিয়া বেগম ছবি এবং রেখা আলম চৌধুরী।