গাজায় জাতিসংঘের পরিচালিত আল-ফাখুরা স্কুলে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছে।
স্কুলটি এখন বাস্তুচ্যুত গাজাবাসীর আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা এ তথ্য জানান। খবর আল জাজিরা
হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা বলেন, গাজা উপত্যকার উত্তরে জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে থাকা আল-ফাখুরা স্কুলে এ হামলা চালানো হয়। তবে ইসরায়েলি বাহিনী এ নিয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, ভবনের মেঝেতে রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে আছে। গাজায় জাবালিয়া সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবির।
গত ছয় সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ইসরায়েল-হামাস লড়াইয়ের কারণে বাস্তুচ্যুত প্রায় ১৬ লাখ মানুষ এখন এই শিবিরে ঠাঁই নিয়েছেন।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) প্রধান ফিলিপ্পি লাজ্জারিনি বলেন, উত্তর গাজায় ইউএনআরডব্লিউএ পরিচালিত আরও একটি স্কুলে হামলায় হতাহত মানুষের ভয়ঙ্কর ছবি এবং ভিডিও চিত্র তারা দেখেছেন। এমন নির্মম হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক তহবিল ইউনিসেফের মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা অঞ্চলের পরিচালক আদেল খোদ্র এক এক্স পোস্টে লিখেছেন, ‘আল–ফাখোরা ও তাল আল–জাতার স্কুলে হত্যাযজ্ঞের এই দৃশ্য ভয়ংকর। শিশু, স্কুল ও আশ্রয়কেন্দ্র কখনো হামলার লক্ষ্যবস্তু হতে পারে না।’
জেএন/পিআর