আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচন কীভাবে করবে সেটি পুরোপুরি নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ব্যাপার।
নির্বাচন সম্পন্ন করার একটি সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা আছে। এই সময়সীমার ভেতরে থেকে ভোট সম্পন্ন করতে হবে।
এমতাবস্থায় নির্বাচন কমিশন যদি মনে করে ভোট কিছুদিন পেছানো দরকার সেটি তারা করতে পারে। এখানে আওয়ামী লীগ বা সরকারের কিছু বলার নেই।
আজ বুধবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে কমনওয়েলথ প্রি-ইলেকশন অ্যাসেসমেন্ট মিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক না হলে বা বিএনপিবিহীন নির্বাচন হলে একটি নিষেধাজ্ঞা আসবে শোনা যাচ্ছে, আপনার কাছে কী তথ্য? এমন কিছু আসবে মনে করেন কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা বর্তমানে নির্বাচন-সংক্রান্ত বিষয়ে আছি। অন্য কিছু মাথায় আসে না।
এই মুহূর্তে কারো চিন্তাভাবনা নেতিবাচক দেখছি না। এ ব্যাপারে আমাদের মাথাব্যথা নেই। বাইরের কে নিষেধাজ্ঞা দিলো, সেটা নিয়ে আমরা ভাবি না।
আমাদের দেশের নির্বাচন, আমরা একটা স্বাধীন দেশ, আমাদের সংবিধান আছে, আমাদের সংবিধানের আলোকে আমাদের ইচ্ছায় নির্বাচন হবে। অন্য কারও নির্দেশ বা নিষেধাজ্ঞায় হবে না।
তিনি বলেন, যারা নির্বাচনে বাধা দেবে, নিষেধাজ্ঞা তাদের দেবে। আমাদের কেন? আমরা তো শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পক্ষে।
১৪-দলীয় জোটের আসন ভাগাভাগি ও জোটের সমীকরণ নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৪ দলের মধ্যে আমাদের বোঝাপড়াটা ভালো। এ নিয়ে সমস্যা হবে না।
জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্যদের সমীকরণটা বুঝতে ৩০ নভেম্বর অথবা প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
এ সময় মনোনয়ন নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের মনোনয়ন প্রক্রিয়াটা গণতান্ত্রিক। সেটা হলো- আমাদের জনমত জরিপ, সরকারি গোয়েন্দা সংস্থা ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর নিজস্ব সেল আছে, এতে কার অবস্থান কী উঠে আসে। সব মিলিয়ে যার নম্বর বেশি, মনোনয়নে তাকেই বিবেচনা করা হয়। গ্রহণযোগ্য প্রার্থীকে আমরা মনোনয়ন দেব।
কমনওয়েলথ পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আলোচনা ইতিবাচক। তাদের নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানোর বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া আছে বলে মনে হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের নির্বাচন কমিশন ঢেলে সজানো, অবাধ সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য শেখ হাসিনার নানান পদক্ষেপ আমরা তাদের জানিয়েছি। আমরা তাদের কাছে জানতে চেয়েছি, পৃথিবীতে গণতন্ত্রে পারফেক্ট কোন দেশ? তারাও সেটি আছে, বলে বলতে পারেনি।
বুধবার বেলা ১১টায় তেজগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের ঢাকা জেলা কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়। ১২টার পর শেষ হয় এ বৈঠক। পরে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বৈঠকে অংশ নেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য কর্নেল (অব) ফারুক খান, নির্বাচন পর্যবেক্ষক উপকমিটির চেয়ারম্যান জিয়াউদ্দিন, সদস্য সচিব এবং অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক ওয়াসিকা আয়েশা খান, আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক প্রমুখ।
জেএন/পিআর