ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ধরে বেপরোয়া গতিতেই চলছিলো (চট্ট-মেট্রো-ঢ-৮১ ২২৫৯) মালবাহি একটি লরি।
মহাসড়কের মিরসরাই উপজেলা সদর ইউনিয়নের ওয়ারলেস এলাকা যখন ক্রস করছিলো সময়টা তখন সকাল সাড়ে ৭টা। এসময় গাড়ির গতি না কমিয়ে চলন্ত গাড়িতেই ঘুমিয়ে পড়েন চালক।
সড়কে তখন এলোমেলো ভাবে দুলছিলো লরিটি। এক পর্যায়ে পুরো নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে থাকা ৪ পথচারীকে চাপা দিয়ে একটি গাছের সাথে ধাক্কা দেয়।
ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তিনজন। এগিয়ে আসে স্থানীয়রা। গুরুতর আহতাবস্থায় অপরজনকে উদ্ধার করে পাঠিয়ে দেন হাসপাতাল। ততক্ষণে লরি ফেলে উধাও চালক ও হেলপার।
ঠিক এভাবেই সড়ক দুর্ঘটনার বিবরণ দিচ্ছিলেন স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী সাবের হাজী। আজ শনিবার (২৫ নভেম্বর) সকালে মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলেন পাবনা জেলার সুজানগর থানার রায়পুর এলাকার মালেক বেপারী ছেলে শফিকুল ইসলাম (৪২), একই থানার সৌখেতু পাড়া এলাকার আবুল কালামের ছেলে আলমগীর হোসেন (৪৫), অপরজন ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার আশুগঞ্জ থানার আন্দিদিল এলাকার হুমায়ুন কবির ছেলে মাসুক মিয়া (৩৫)। মারাত্মক আহত হয়েছেন মো. মাজেদ (৩৫)।
প্রত্যক্ষদর্শী সাবের ও আহত শ্রমিক মাজেদ জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পূর্ব পাশ ঘেঁষে তেলের পাইফ লাইন স্থাপনের কাজ করছিলেন নিয়োজিত শ্রমিকরা।
কাজের ফাঁকে নাস্তা সেরে ফের কাজে যোগ দিতে রাস্তার পাশ দিয়ে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন ৫ শ্রমিক। এসময় কিছু বুঝে উঠার আগেই চলন্ত লরি মহাসড়ক থেকে বিচ্যুত হয়ে সড়কের পাশে শ্রমিকদের চাপা দেয়।
এতে ঘটনাস্থলেই ৩ শ্রমিকের মৃত্যু হয়। এছাড়া এক শ্রমিক আহত হয়। আহতকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা এবং পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, গাড়ি চালক ঘুমিয়ে পড়ার কারনে গাড়ি মহাসড়ক থেকে সড়কের আশে চলে যায়। যার কারনেই ৩ জন শ্রমিকের প্রাণ গেল।
জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ সোহেল সরকার বলেন, লরিটি আটক করা হয়েছে। নিহতদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
জেএন/রাজীব