মিয়ানমার সীমান্তে চীন থেকে পণ্য বোঝাই করে আসা শতাধিক ট্রাকের একটি বহরে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। শুক্রবার দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, বিদ্রোহীদের হামলায় এসব ট্রাক পুড়েছে।
এ ঘটনায় প্রতিবেশী চীনে মিয়ানমারের ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। খবর রয়টার্স’র।
জান্তা পরিচালিত গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিত্যপণ্য, ভোগ্যপণ্য, পোশাক ও নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে আসা ২৫৮টি ট্রাকের মধ্যে ১২০টি সন্ত্রাসীদের কর্মকাণ্ডে পুড়ে গেছে।
খবরে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, এক মাস আগে জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শুরু করা বিরোধী জোট এই অগ্নিসংযোগ করেছে।
এমন সময় মুসে শহরে এই অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটলো যখন মিয়ানমারে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত নেপিদোতে দেশটির শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সীমান্ত অঞ্চলের অস্থিতিশীলতা নিয়ে বৈঠক করছেন। এই অস্থিতিশীলতায় দুই দেশের সম্পর্কে কিছুটা উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
বিদ্রোহীদের একটি গোষ্ঠীর মুখপাত্র লি কিয়ার উইন ট্রাক বহরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, জনগণের স্বার্থের লঙ্ঘন হয় এমন কিছুতে তারা হামলা চালায় না।
সম্প্রতি বেশ কয়েকটি শহর ও সামরিক ফাঁড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। ২০২১ সালের অভ্যুত্থানের পর সশস্ত্র জাতিগত বিদ্রোহীদের সমন্বিত আক্রমণে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে জান্তা।
জাতিসংঘ বলেছে, সংঘাত বৃদ্ধির কারণে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ২০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে লাউক্কাই শহরে ১০ জন নিহত হয়েছেন। এটিও মুসে শহরের মতো চীন সীমান্তবর্তী শান রাজ্যে অবস্থিত। সংঘাতপূর্ণ এলাকা থেকে পালানো মানুষদের একটি গাড়িতে রকেট আঘাত করলে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
সেসময় জান্তা ও অঞ্চলটিতে সক্রিয় বিদ্রোহীদের মুখপাত্র উভয়েই এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন এবং দায় অস্বীকার করেছেন। রয়টার্সের পক্ষ থেকে নিহতের সংখ্যা স্বতন্ত্রভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
চীনা রাষ্ট্রদূত চেন হাই মিয়ানমারে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। জান্তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী থান সোয়ে ও সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে নেপিদোতে বৈঠককালে এ আহ্বান জানান তিনি।
জেএন/পিআর