আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার চিঠির মধ্য দিয়ে দলীয় মনোনয়নের চিঠি বিলি শুরু করলো আওয়ামী লীগ। সোমবার দুপুরে দলটির সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে চিঠি হস্তান্তর শুরু হয়।
এর আগে রোববার ৩০০ আসনের মধ্যে দলীয় ২৯৮ জন প্রার্থীর তালিকা ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ।
দুপুরে মনোনয়নের চিঠি নেন সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গির কবীর নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, আফজাল হোসেন, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল।
এসময় ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নির্বাচনে না এলে কী আওয়ামী লীগ জোর করবে? নির্বাচনে আসা বিএনপির সুযোগ নয়, অধিকার।
বিএনপি নির্বাচনে না এলেও দলটির অনেক নেতাই নির্বাচনে অংশ নেবে। ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সেটি আরও স্পষ্ট হবে। ২৫/৩০টি দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে।
১৫ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
ওই দিন সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি জানান আগামী নির্বাচনের ভোটের গ্রহণ করা হবে সাত জানুয়ারি।
রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়ন পত্র জমার শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর। মনোনয়ন পত্র যাচাই-বাছাই এক থেকে চার ডিসেম্বর।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর। এ দিন থেকেই প্রার্থীরা প্রচার শুরু করতে পারবেন। নির্বাচনী প্রচার শেষ হবে পাঁচ জানুয়ারি সকালে।
মনোনয়নপত্র জমার জন্য ১৪ দিন এবং প্রচারের জন্য ১৯ দিন সময় দেওয়া হয়। নিয়ম অনুযায়ী ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে প্রচার শেষ করতে হয়। সেই হিসেবে ১৮ ডিসেম্বর থেকে পাঁচ জানুয়ারি পর্যন্ত ভোটের প্রচার চালানোর সুযোগ থাকবে।
এবার ৩০০ আসনেই ভোট হবে ব্যালট পেপারে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ৫৩ দিন সময় দিয়ে তফসিল ঘোষণা করে ইসি।
জেএন/পিআর