ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশে পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত এক আসামিকে চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) বেলা পৌনে ১টার দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার আসামির নাম মুরাদ চৌধুরীকে (৩৮)।
সে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক। মুরাদ চট্টগ্রামের দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানা এলাকার পূর্ব সরফভাটার মোহাম্মদ আলীর ছেলে এবং গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় পুলিশ হত্যা মামলার ১৬৩নং এজাহার নামীয় আসামি বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে র্যাবের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
র্যাব জানায়, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীর নয়াপল্টন এলাকার বিভিন্ন স্থানে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্দেশে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মুরাদ চৌধুরী তার অনুসারীদের নিয়ে মহাসমাবেশ স্থলে অবস্থান নেয়।
মঞ্চে অবস্থিত কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশনা ছিল যে, পুলিশের ওপর বর্বরোচিত ও নৃশংস হামলা চালিয়ে তদের মনোবল ভেঙে দেয়া। নির্দেশনা মোতাবেক কাকরাইলে উপস্থিত কর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা করলে, পুলিশ এবং বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়।
কাকরাইলের সংঘর্ষের সুযোগ নিয়ে শীর্ষ নেতাদের নির্দেশে নয়াপল্টনস্থ বিএনপি পার্টি অফিস সংলগ্ন ভিক্টরি হোটেলের পাশের গলি দিয়ে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মুরাদ চৌধুরী তার অনুসারীদের নিয়ে পুলিশের ওপরে হামলার উদ্দেশ্যে অগ্রসর হয়।
দলের একটি অংশ বক্স কালভার্ট রোডের পশ্চিম প্রান্তে বিজয় নগর পানির ট্যাংকির দিকে যায় এবং অপর অংশটি ছাত্রদল নেতা আমান এবং জাকির হোসেন জসিম নেতৃত্বে বক্স কালভার্ট রোডের অপর প্রান্তের দিকে অগ্রসর হয়।
রোডের পশ্চিম প্রান্তে পৌঁছানোর পর ছাত্রদলের কর্মীরা সেখানে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের ওপরে অতর্কিত হামলা করে।
হামলার প্রেক্ষিতে পশ্চিম প্রান্তে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদেরকে সাহায্য করার উদ্দেশ্যে অপর প্রান্তের পুলিশ সদস্যরা পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়।
পশ্চিম দিকে অগ্রসরমান পুলিশ সদস্যদের ওপর ছাত্রদল নেতা আমান, যুবদল নেতা জাকির হোসেন জসিম এবং চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মুরাদ চৌধুরী এর নেতৃত্বে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে।
আত্মরক্ষার জন্য পুলিশ সদস্যরা টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে আক্রমণ প্রতিহত করার চেষ্টা করে। জানমাল এবং সরকারি সম্পত্তি রক্ষা ও ক্ষয়ক্ষতি কমানোর জন্য পুলিশ সদস্যরা অস্ত্র ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকে এবং সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের পরিচয় দেয়।
জেএন/পিআর