২০২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তিতে ডিজিটাল লটারির ফল প্রকাশ করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর দুইটার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ফল প্রকাশ করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
প্রথম ধাপে তিন লাখের বেশি শিক্ষার্থীকে নির্বাচন করা হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি স্কুলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে এক লাখ ৩৯ জন শিক্ষার্থী। আর বেসরকারি স্কুলে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছে দুই লাখ পাঁচ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী।
একই সঙ্গে অপেক্ষমাণ তালিকাও করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। আসন শূন্য থাকা সাপেক্ষে অপেক্ষমাণদের ভর্তির সুযোগ দেওয়া হবে।
দ্বৈবচয়ন পদ্ধতিতে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী বাছাই করা এ ফল স্কুলপ্রধানদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
শিক্ষার্থীরা কে, কোনো স্কুলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে, সেটা আবেদনের সময় তাদের দেওয়া মোবাইল নম্বরে এসএমএস করে জানিয়ে দেওয়া হবে।
ফল প্রকাশের সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
যেভাবে ফল জানা যাবে
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা ওয়েবসাইট ও এসএমএসের মাধ্যমেও ফল জানতে পারবেন। ওয়েবসাইটে ফলাফল দেখতে https://gsa.teletalk.com.bd-এ লিংকে প্রবেশ করতে হবে।
আর এসএমএসে ফল পেতে GSA লিখে স্পেস দিয়ে Result লিখে স্পেস দিয়ে User ID লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে শিক্ষার্থী জেনে যাবে, সে কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনায় এ লটারির উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী জানান, ৬৫৮ টি সরকারি ও তিন হাজার ১৮৮টি বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অনলাইন আবেদন শুরু হয় ২৪ অক্টোবর।
দুই পর্যায়ে প্রথম থেকে নবম পর্যন্ত মোট ১০ লাখ ৬০ হাজার ৯ শূন্য আসনের বিপরীতে আবেদন পড়ে আট লাখ ৭৩ হাজার ৭৯২টি।
ভর্তি কোন যুদ্ধ নয় বরং ভর্তি অধিকার মন্তব্য করে শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, রেডিমেড ভালো শিক্ষার্থীদের চাওয়ার ওপর লাগাম দেওয়া সম্ভব হয়েছে লটারি পদ্ধতির কারণে। রেডিমেড ভালো শিক্ষার্থী নিলে শিক্ষকের দায়িত্ব কি?
ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ভর্তি না করালে এবং এ পদ্ধতিতে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম করলে প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি পর্যায়ে এমপিও বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষা উপমন্ত্রী।
প্রধান অতিথির বক্তব্য ডা. দীপু মনি জানান, পছন্দ তালিকায় না থাকায় অনেক সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও সব আসন পূর্ণ করা যায়নি। পরে অপেক্ষমাণ তালিকা প্রকাশ করে শূন্য আসনে মনোনয়ন দেওয়া হবে।
তিনি আরও জানান, এবার সহোদর কোটার বিষয়টি যুক্ত করা হয়েছে। নতুন শিক্ষাক্রম ও এই ভর্তিপ্রক্রিয়া একে অপরের পরিপূরক। এক লাখ ১৮ হাজার আসনের বিপরিতে সরকারি স্কুলে আবেদন পড়েছে পাঁচ লাখের বেশি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এবার বই উৎসব পহেলা জানুয়ারি না হয়ে নির্বাচন পরবর্তী হতে পারে। নতুন শিক্ষাক্রমে উপকরণে নামে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো অর্থ নিতে পারবেনা। উপকরণ হিসেবে বার বার ব্যবহার করা যায় এমন উপকরণ ব্যবহারের নির্দেশ রয়েছে।
জেএন/পিআর