নগর রাজনীতিতে আলোচিত এক নাম ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন তিনি। এর চেয়েও বড় পরিচয় তিনি আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের সঙ্গী প্রয়াত রাজনীতিবিদ এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছেলে।
মহিউদ্দিনের ছেলে হিসেবে নওফেল এমনিতেই ছিলেন লাইমলাইটে, আর এবারের নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে এখন রয়েছেন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। কারণ চট্টগ্রামের ১৬টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ যে প্রার্থী ঘোষণা করেছে তাতে একমাত্র নতুন মুখ যে তিনিই!
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী-বাকলিয়া) আসনে নৌকার টিকিট পেয়েছেন নওফেল। সবচেয়ে মজার বিষয় হলো, গুরুত্বপূর্ণ এ আসন থেকে দলের মনোনয়ন চেয়েছিলেন ২৫ জন আওয়ামী লীগ নেতা! তবে নেত্রী শেষ পর্যন্ত আস্থা রেখেছেন মহিউদ্দিনপুত্র নওফেলের উপরই।
এদিকে নিজের মেধা-দক্ষতা কাজে লাগিয়ে নেত্রীর আস্থার প্রতিদান দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ নওফেলও। ব্যারিস্টার নওফেল জয়নিউজকে বলেন, দলের হাইকমান্ডের কাছে আমাদের দাবি ছিল এই আসনে নৌকার প্রার্থী দিতে হবে। হাইকমান্ড সেই দাবি মেনে নিয়েছেন। আমার জায়গায় অন্য কেউ নৌকার প্রার্থী হলেও নৌকার কর্মী হিসেবে মাঠে থাকতাম।
বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার আস্থার সর্বোচ্চ সম্মান রাখবেন উল্লেখ করে নওফেল বলেন, আমি বিজয়ী হলে সংসদে গিয়ে স্থানীয় সেবা সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে ক্ষেত্রে যে জটিলতা আছে তা নিরসন করার লক্ষ্যে কাজ করবো। নগরবাসী যেন কোনো ভোগান্তি ছাড়াই নাগরিক সেবা নিতে পান সেই লক্ষ্যে আইন প্রণয়নের চেষ্টা করবো।
সাম্প্রতিক সময়ে টিভি টকশোগুলোতে ক্ষুরধার যুক্তিতে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করে সবার নজর কেড়েছেন নওফেল। আসন্ন সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে নওফেল সংসদে চট্টগ্রামবাসীর কণ্ঠস্বর হবেন এমনটিই প্রত্যাশা করছেন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা।