আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনের ট্রেন চলছে। যত বাধাই আসুক, গন্তব্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত এ ট্রেন কোথাও থামবে না।
এ নির্বাচনে বিএনপি দল হিসেবে অংশ না নিলেও তাদের ১৫ কেন্দ্রীয় নেতাসহ ৩০ জন সাবেক এমপি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের।
আজ শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে দলীয় সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, পৃথিবীর বহু দেশে নির্বাচন হয়। এর মধ্যে ইউরোপ, আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকারসহ অনেক দেশের নির্বাচন অনেক সময় বিরোধী দলের অনুপস্থিতে হয়। কিন্তু সেইসব নির্বাচনকে কেউ অবৈধ মনে করে না। কারণ, যেই নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে আসে, জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়।
সেখানে দু-একটা দল নির্বাচনে না এলে নির্বাচন অবৈধ হয়ে যাবে বা অংশগ্রহণমূলক হবে না—এটা মনে করার কোনো কারণ নেই। ৩০টি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে, এটা একটা বিরাট সাফল্য।
তিনি বলেন, ইফতেখারুজ্জামান সাহেব ও বদিউল আলম মজুমদার তারা দিনরাত অবিরাম অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে কথা বলছে। এ পর্যন্ত যে ২৭৩টি গাড়িতে আগুন জ্বালানো হয়েছে, সেটা নিয়ে তো তারা কথা বলেন না।
প্রতিদিন হরতাল-অবরোধের নাম বাস ভাঙচুর হচ্ছে, এ নিয়ে তারা কোনো কথা বলে না। যারা নির্বাচনকে বাধা দিচ্ছে, সে বিষয়ে তাদের কোনো বক্তব্য নেই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, একাত্তরের বিজয়ের চেতনা ধারণা করে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে সুসংহত করার পথে প্রধান অন্তরায় সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদ। এসবের বিরুদ্ধে আমরা আপসহীনভাবে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি।
আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিষয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ঢালাওভাবে সবাই স্বতন্ত্র নির্বাচন করবে বিষয়টা এমন নয়। ১৬ তারিখ পর্যন্ত দলীয়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের জিএসপি সুবিধা নিয়ে তিনি বলেন, সম্পর্কের মাঝে টানাপড়েন বন্ধুত্বেরই অংশ। আমাদের তাদের দরকার। আবার তাদের আমাদেরও দরকার।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।
জেএন/আর এস