ভুয়া ভোটার দেখানোর দায়ে চট্টগ্রাম-১, ২, ৩, ৪ ও ৫ আসনের ১২ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
রোববার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা কার্যালয় এবং বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় মনোনয়ন পত্র যাচাই-বাছাই শেষে বাতিল করা হয়।
এদিন চট্টগ্রাম কার্যালয়ে চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই), চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি), চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ), চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) ও চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা) আসনের এবং বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড), চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী), চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়। এসময় যাচাই-বাছাই করে ৫ টি আসনের মোট ১২ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়।
জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে মনোনয়ন যাচাই-বাছাইকালে চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের মনোনয়ন বাতিল হয়।
চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম নওশের আলী, মোহাম্মদ শাহজাহান ও রিয়াজ উদ্দিনের মনোনয়ন বাতিল হয়। সকলের মনোনয়নের সঙ্গে জমা দেওয়া ১ শতাংশ ভোটারের তথ্যে গরমিল পাওয়া যায়।
একই অভিযোগে চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসনের নিজাম উদ্দিন নাছির ও আমিন রসূল নামে দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নও বাতিল করেন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা।
অন্যদিকে, বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মনোনয়ন যাচাই-বাছাইয়ে চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনের ৪ প্রার্থী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, মোহম্মদ ইমরান, দিদারুল আলম ও আখতার হোসেনের মনোনয়ন বাতিল হয়।
চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনের দুই প্রার্থী নাছির হায়দার চৌধুরী, মোহাম্মদ শাহজাহানের মনোনয়ন বাতিল করা হয়। তাদের বিরুদ্ধেও ভোটার-সমর্থকদের ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
প্রথম দফায় যাচাই-বাছাই শেষে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ভোটার সমর্থকের তালিকায় গরমিল থাকায় মনোনয়নপত্রগুলো বাতিল করা হয়।
বাতিল হলেও প্রার্থীদের আপিলের সুযোগ রয়েছে। এছাড়া কয়েকজন প্রার্থীর নথিপত্র পর্যাপ্ত না থাকায় তাদের সন্ধ্যা পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামের ১৬ আসনে মোট ১৫১ জন মনোনয়ন জমা দেন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাছাই ১-৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ও শুনানি ৬-১৫ ডিসেম্বর এবং ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারন করা যাবে।
প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচারণা চলবে ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত, নির্বাচনে ভোটগ্রহণ ৭ জানুয়ারি।
জেএন/হিমেল/পিআর