সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়ে বিএনপি মিথ্যাচার করছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
সোমবার (২৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় নগরের দেওয়ানজি পুকুর পাড় এলাকার বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ২০ তারিখ অফিসার্স ক্লাবে যে সময়ে বৈঠকের কথা বলা হয়েছে ওই সময় প্রধানমন্ত্রীর সচিব ইডকলের একটি বৈঠকে ছিলেন। ওই বৈঠকের ছবি পরদিন পত্রিকায় বেরিয়েছে। যার ছবি ও ভিডিও ফুটেজ আছে। প্রধানমন্ত্রীর এপিএস প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ছিলেন ওই সময়। জনপ্রশাসন সচিব নিজের অফিসে ছিলেন। যার ছবি ও তথ্যপ্রমাণ আছে। নির্বাচন কমিশন সচিব তো বলেছেনই, তাদের সতর্ক হয়ে কথা বলার জন্য।
তিনি বলেন, এই যে মিথ্যাচার, এটি নির্বাচনী আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। সচিবদের বিরুদ্ধে জঘন্য মিথ্যাচার করা হলো। নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ জানাব, প্রপাগাণ্ডা ছড়িয়ে আচরণবিধি লংঘনের জন্য রিজভী আহমেদ ও বিএনপির বিরুদ্ধে যেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
ড. হাছান বলেন, তারা সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের বক্তব্য দিয়ে নির্বাচন কমিশনকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। এভাবে পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে চায়। কারণ তারা নির্বাচনের মাঠে নেমে বুঝতে পেরেছে, তাদের অবস্থা শোচনীয়। সে কারণে তারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়।
সুপ্রিম কোর্টে ভোট চেয়ে মির্জা ফখরুল ও ড. কামাল হোসেন নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, তারা আচরণবিধির কথা বলেন। অথচ দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে রীতিমত সমাবেশ করে ও আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তারা ধানের শীষে ভোট চেয়েছেন। এটা আচরণবিধির চরম লঙ্ঘন। এদের বিরুদ্ধে অবশ্যই নির্বাচন কমিশনের ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
তিনি আরো বলেন, যারা (বিএনপি) প্রতিনিয়ত আচরণবিধির কথা বলেন, তারা নিজেদের কার্যালয়ের সামনে হাজার হাজার লাঠি ও বাঁশ নিয়ে যেভাবে নির্বাচনি ফরম সংগ্রহ করতে গেছেন, এটা আচরণবিধির কোথায় আছে! মামলার আসামি হয়ে কিভাবে সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী?
হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি পুলিশকে ঘেরাও করে মারধর, কিলঘুষি মেরে পুলিশ ও র্যাবের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। এখানে আচরণবিধির ১১ ও ১৮ অনুচ্ছেদ সুস্পষ্টভাবে লংঘিত হয়েছে। আর এই ঘটনায় পুলিশ তিনটি মামলা করেছে, যেখানে রুহুল কবির রিজভী একজন আসামি। পুলিশ কমিশনারের কাছে অনুরোধ, রিজভীসহ এ সব মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের হাঁকডাক খালি কলসি বাজার মতো মন্তব্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, ড. কামাল হোসেন, মাহমুদুর রহমান মান্না, আ স ম রবসহ ভাড়া করা নেতাদের নিয়ে বিএনপি পার পাবে না।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নজরুল ইসলাম তালুকদার, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ডা. সেলিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আকতার হোসেন খান, আবু তাহের মেম্বার, যুবলীগ সদস্য মো. ফরিদ, রাঙ্গুনিয়া সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নাছির উদ্দীন রিয়াজ, সিনিয়র সহ-সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ওয়ায়েস কাদের।