উড়ে এসে চলচ্চিত্রে জুড়ে বসেছে আইটেম গান। যদিও গানটি চলচ্চিত্রের মূল গল্পের মোড় ঘুরায় না; কেবলই বিনোদন দেয়। তারপরও এটিকে এখন অপরিহার্য বিষয়ে পরিণত করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
যতদূর জানা যায়, বলিউডে প্রথম আইটেম গানের প্রচলন শুরু হয়। সময়ের সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে তা ছড়িয়ে পড়ে।
বলিউডের পাশাপাশি দক্ষিণী সিনেমায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে এ গান। কিন্তু দক্ষিণী সিনেমার জন্য নির্মিত একটি সাধারণ আইটেম গানের পেছনে কয়েক কোটি টাকা ব্যয় হয়ে থাকে।
গালতে ডটকম এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্র রূপায়নকারী তারকাদের পারিশ্রমিক বাদ দিলেও একটি আইটেম গানের খরচ হয় ২.৫ কোটি রুপি; যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩ কোটি ২৪ লাখ টাকার বেশি।
মোটা অঙ্কের এই অর্থ গানটিতে কীভাবে খরচ হয়? এই প্রশ্নের ব্যাখ্যা দিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি। এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইটেম গানের জন্য বেশ কটি কালারফুল সেট নির্মাণ করতে হয়; যাতে খরচ হয় ৯০ লাখ থেকে ১ কোটি রুপি।
এ খরচের মধ্যে রয়েছে আর্ট সেটআপ, স্টুডিও ভাড়া এবং মেকিং চার্জ। আইটেম গানের কোরিওগ্রাফারকে দিতে হয় ১০ লাখ রুপি। বিদেশি ও মুম্বাইয়ের আবেদনময়ী নৃত্যশিল্পীদের পেছনে ব্যয় হয় প্রায় ৯০ লাখ রুপি।
নৃত্যশিল্পীদের প্রত্যেককে প্রতিদিন দিতে হয় ১০ হাজার রুপি। গানটির শুটিং করতে সময় লাগে ৩-৪ দিন। তা ছাড়া এসব শিল্পীদের বিমান ভাড়া, থাকা-খাওয়ার খরচও রয়েছে।
কস্টিউম, ডিজাইনার চার্জ, কারভ্যান ভাড়াসহ আরো বেশ কিছু খরচ রয়েছে, সেসব যোগ করলে একটি গানের পেছনে ২ থেকে ২.৫ কোটি রুপি খরচ হয়।
সিনেমা মুক্তির পর আইটেম গান হিট হবেই তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। ফলে লগ্নিকৃত অর্থ এই গান থেকে ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনাও কম। তারপরও কেন এত অর্থ ব্যয় করে আইটেম গান নির্মাণ করা হচ্ছে?
এ প্রশ্নের জবাবে দক্ষিণী সিনেমার নির্মাতারা সংবাদমাধ্যমটিকে বলেন, ‘অর্থ বেশি ব্যয় না করলে গানটি আকর্ষণীয় হবে না। আর এভাবেই এখন বাণিজ্যিক সিনেমা নির্মিত হচ্ছে।
জেএন/পিআর