ইসরাইলি সেনাবাহিনীর তীব্র হামলায় গাজা উপত্যকায় অন্তত ১৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে গেল ২৪ ঘন্টায়। পাশাপাশি আহত হয়েছে ২৫৯ জন।
দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে আগ্রাসন চালিয়ে ১৭ হাজার ৭০০ ফিলিস্তিনি হত্যা করেছে ইসরাইল।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, মধ্য গাজা উপত্যকার দেইর আল-বালাহর আল-আকসা হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় ৭১ জনের মরদেহ ও ১৬০ জন আহত মানুষ পৌঁছেছে।
পাশাপাশি একই সময়ে ৬২ জনের মৃতদেহ এবং ৯৯ জন আহত মানুষ দক্ষিণ গাজা উপত্যকার নাসের মেডিক্যাল কমপ্লেক্সে পৌঁছেছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আশরাফ আল কুদরা জানিয়েছেন, গাজা উপত্যাকার কোথায় আর নিরাপদ জায়গা নেই। এদিকে গাজায় যুদ্ধ চলমান থাকায় দেখা দিয়েছে মানবিক বিপর্যয়। জাতিসংঘ সতর্ক করেছে যুদ্ধের কারণে গাজার মোট জনসংখ্যার অর্ধেকই অনাহারে থাকছেন।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিহতদের ভেতর প্রচুর শিশু এবং নারী রয়েছেন। ইসরাইলি হামলার প্রথম মাসে গাজায় ৮৩টি মসজিদ সম্পূর্ণ ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে, আর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৬৬টি। এসময় তিনটি গির্জাকেও লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।
এছাড়া ৪৩ হাজারের বেশি আবাসন ইউনিট সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করা হয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তিন লাখ ভবন।
ফিলিস্তিনের জিডিপি কমেছে, ঝুঁকি বাড়ছে অর্থনীতিতেফিলিস্তিনের জিডিপি কমেছে, ঝুঁকি বাড়ছে অর্থনীতিতে
জাহাজ আটক করলো হুতিরা, ইরানকে দায়ী করছে ইসরাইলজাহাজ আটক করলো হুতিরা, ইরানকে দায়ী করছে ইসরাইল
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, গাজায় এরইমধ্যে ২৫টি হাসপাতাল এবং ৫২টি স্বাস্থ্য কেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে। ইসরাইলি বাহিনী ৫৫টি অ্যাম্বুলেন্সেও হামলা চালিয়েছে।
এর আগে গেলো ৭ অক্টোবর ইসরাইলে এই দশকের সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযান চালায় গাজার হামাস সরকার। এর পরপরই গাজায় হামলা শুরু করে ইসরাইল। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে নিরবিচ্ছিন্নভাবে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে নেতানিয়াহু প্রশাসন।
ইসরাইলি হামলা ও অবরোধে দশ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। পানি, খাদ্য এবং অন্যান্য মৌলিক সরবরাহ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে গাজার বাসিন্দারা।
জেএন/পিআর