চট্টগ্রামে ১৩ লাখের বেশি শিশুকে খাওয়ানো হবে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল

আগামী ১২ ডিসেম্বর জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনে চট্টগ্রাম নগরী ও ১৫ উপজেলায় ৬-৫৯ মাস বয়সী ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৬২৫ জন শিশুকে ভিটামিন‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

- Advertisement -

এর মধ্যে নগরীতে প্রায় ৫ লাখ ৪১ হাজার ও ১৫ উপজেলায় ৮ লাখ ২৭ হাজার ৬২৫ শিশু থাকবে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে।

- Advertisement -google news follower

জেলায় ৮ লাখ ২৭ হাজার ৬২৫ জনের মধ্যে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৯৬ হাজার ৭৯০ জন এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৭ লাখ ৩০ হাজার ৮৩৫ জন।

এছাড়া নগরীর ৫ লাখ ৪১ হাজার জনের মধ্যে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৮১ হাজার জন এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৪ লাখ ৬০ হাজার জন।

- Advertisement -islamibank

আজ ১০ ডিসেম্বর রবিবার দুপুর ২টায় চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী এ তথ্য জানান।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান ও জাতীয় পুষ্টি সেবার বাস্তবায়নে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

এতে বলা হয়, জেলার ১৫ উপজেলার ২ শ’ ইউনিয়নের ৬ শ’ ওয়ার্ডের ১৭ টি স্থায়ী, ১৫ টি ভ্রাম্যমাণ ও ৪ হাজার ৮ শ’ অস্থায়ীসহ মোট ৪ হাজার ৮৩২ কেন্দ্রে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৯৬ হাজার ৭৯০ শিশুকে একটি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (১ লক্ষ আইইউ) ও ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৭ লাখ ৩০ হাজার ৮৩৫ শিশুকে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (২ লক্ষ আইইউ) খাওয়ানো হবে।

সিভিল সার্জন জানান, জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, জেলার বাইরে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৪১টি ওয়ার্ডে প্রায় ৫ লাখ ৪১ হাজার শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। আগামী ১২ ডিসেম্বর সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত উপজেলাগুলোতে ৫০ জন স্বাস্থ্য পরিদর্শক, ১৬০ জন সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক, ৪৮৫ জন স্বাস্থ্য সহকারী, ৭২০ জন পরিবার পরিকল্পনা সহকারী, ১৯৬ জন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক, ৯ হাজার ৬৬০ জন স্বেচ্ছাসেবক, ১৪ জন স্যানিটারি ইন্সপেক্টর, ৫৩২ জন সিএইচসিপি ও ৮৫ জন স্যাকমো জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনে নিয়োজিত থাকবে। ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কন্ট্রোল রুম খোলা হবে।

তিনি বলেন, ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন নিয়ে গুজব সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে। উৎসবমুখর পরিবেশে এ ক্যাম্পেইন সফল করা হবে। এ কর্মসূচি সফল করতে সকল ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।

৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী সকল শিশু যাতে ঐদিন ভিটামিন ‘এ’ ক্যাসসুল পায় সে লক্ষ্যে প্রত্যেক উপজেলা সদর, প্রত্যেক ইউনিয়নে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে জনগণকে অবহিত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ভ্রমণে থাকাকালীন ও রেল স্টেশন, বাস টার্মিনাল, ফেরি ঘাট ও লঞ্চ ঘাটে অবস্থিত টিকা কেন্দ্রসহ যে কোন টিকাদান কেন্দ্র থেকে শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে।

সিভিল সার্জন বলেন, ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল শিশুর অপুষ্টি, অন্ধত্ব প্রতিরোধ, দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত, হাম ও ডায়রিয়াজনিত মৃত্যুর হার হ্রাসসহ সকল ধরণের মৃত্যুর হার হ্রাস করে। ভরা পেটে এ ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে। তবে কোন অসুস্থ বাচ্চাকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়ার সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এমওডিসি ডা. মোহাম্মদ নুরুল হায়দার।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. ওয়াজেদ চৌধুরী অভি, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এমওসিএস ডা. মো. নওশাদ খান।

জেএন/পিআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM