অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দুই মাসেও বেশি সময় ধরে চলা ইসরাইলি হামলায় ১৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। যার অধিকাংশই শিশু ও নারী। এসব হামলায় আহত হয়েছে কমপক্ষে ৫০ হাজার মানুষ।
হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে রোববার এ কথা জানিয়েছে তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি।
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে খবরে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি আগ্রাসনে ১৮ হাজার লোক নিহত এবং ৫০ হাজার লোক আহত হয়েছে। এখনও অনেকে নিখোঁজ রয়েছে। এছাড়াও ইসরাইলি কারাগারে জিম্মি রয়েছে আরও কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি।
গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রী আশরাফ আল কুদরা বলেন, গাজা উপত্যকার কোথাও আর নিরাপদ জায়গা নেই। এদিকে গাজায় যুদ্ধ চলমান থাকায় দেখা দিয়েছে মানবিক বিপর্যয়। জাতিসংঘ সতর্ক করেছে যুদ্ধের কারণে গাজার মোট জনসংখ্যার অর্ধেকই অনাহারে থাকছেন।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিহতদের ভেতর প্রচুর শিশু এবং নারী রয়েছেন। ইসরাইলি হামলার প্রথম মাসে গাজায় ৮৩টি মসজিদ সম্পূর্ণ ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে, আর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৬৬টি। এসময় তিনটি গির্জাকেও লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।
এছাড়া ৪৩ হাজারের বেশি আবাসন ইউনিট সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করা হয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তিন লাখ ভবন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, গাজায় এরইমধ্যে ২৫টি হাসপাতাল এবং ৫২টি স্বাস্থ্য কেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে। ইসরাইলি বাহিনী ৫৫টি অ্যাম্বুলেন্সেও হামলা চালিয়েছে।
এর আগে গেলো ৭ অক্টোবর ইসরাইলে এই দশকের সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযান চালায় গাজার হামাস সরকার। এর পরপরই গাজায় হামলা শুরু করে ইসরাইল। দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে নিরবিচ্ছিন্নভাবে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে নেতানিয়াহু প্রশাসন।
ইসরাইলি হামলা ও অবরোধে দশ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। পানি, খাদ্য এবং অন্যান্য মৌলিক সরবরাহ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে গাজার বাসিন্দারা।
জেএন/পিআর