খাগড়াছড়ির পানছড়িতে প্রতিপক্ষের হামলায় ইউপিডিএফের (প্রসীত গ্রুপের) ৪ নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ রয়েছে তিনজন। তাদেরক অপহরণ করার অভিযোগও তুলেছে সংগঠনটি।
সোমবার রাত ১০টার দিকে পানছড়ি উপজেলার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ফতেহপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনার জন্য ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) কে দায়ী করেছেন ইউপিডিএফের জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা।
নিহতরা হলেন- পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাবেক সভাপতি ও গণতান্ত্রিক যুবফোরামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি সুনীল চাকমা, খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সহ-সভাপতি লিটন চাকমা ও ইউপিডিএফ সদস্য রহিনশা ত্রিপুরা।
নিহতদের মধ্যে বিপুল চাকমার বাড়ি চেঙ্গী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের করল্যাছড়ি বুদ্ধধন পাড়ায়।
সুনীল ত্রিপুরার বাড়ি মাটিরাঙ্গা উপজেলার বড়নাল ইউনিয়নের সুরেন্দ্র রোয়াজা হেডম্যান পাড়ায়।
লিটন চাকমার বাড়ি খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার ভাইবোনছড়া ইউনিয়নের দ্রোনচার্য্য কার্বারি পাড়ায় আর রুহিন বিকাশের বাড়ি ত্রিপুরা পানছড়ির উপল্টাছড়ি ইনিয়নের পদ্মিনী পাড়ায়।
এ ঘটনায় আরও নিখোঁজ রয়েছেন ইউপিডিএফ সংগঠক নীতিদত্ত চাকমা, হরিকমল ত্রিপুরা ও সদস্য প্রকাশ ত্রিপুরা।
অংগ্য মারমা জানান, সোমবার রাতে পানছড়ির পুজগাংয়ের অনীলপাড়ায় সাংগঠনিক কাজে অবস্থানের সময় প্রতিপক্ষের হামলার এ ঘটনাটি ঘটে।
তিনি এই ঘটনার জন্য ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) কে দায়ী করেছেন।
তবে ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফের সভাপতি শ্যামল চাকমা। তিনি বলেন, পাহাড়ে বেশ কয়েকটি সংগঠন রয়েছে। তারা এই ঘটনা ঘটাতে পারে।
জেএন/পিআর