একবার হরতাল অন্যবার অবরোধ এই দুইয়ের গোলকধাঁধায় পড়েছেন চট্টগ্রামসহ সারাদেশের মানুষ। এদিকে চট্টগ্রামবাসীর এখন অবস্থা জলে কুমির, ডাঙ্গায় বাঘ।
একদিকে চলছে অবরোধ অন্য দিকে বেড়েছে নিত্য পণ্যেসহ সকল পণ্যের দাম। অবরোধে গাড়ি চলাচল বাড়লেও কমছে না নিত্যপণ্যের দাম।
বিএনপিসহ কয়েকটি দলের ডাকে দেশজুড়ে ৩৬ ঘণ্টার অবরোধ শুরু হয়েছে আজ মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর)। একাদশতম দফার এ অবরোধ বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় শেষ হবে।
অবরোধের প্রথম দিন সকালে চট্টগ্রামের যান চলাচলে কোনো প্রভাব দেখা যায়নি।
মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রামের মুরাদপুর, চকবাজার, নতুন ব্রিজ, নিউমার্কেট, আগ্রাবাদ এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বাস, রিকশা, প্রাইভেট কার, সিএনজিসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচল করছে সড়কে।
এসব এলাকায় গণপরিবহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে ব্যক্তিগত যান চলাচল স্বাভাবিকের চেয়ে কম দেখা গেছে।
সকালে সড়কে তেমন যানজট না থাকলেও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট পার হতে সিগনালে পড়তে হয় যানবাহনগুলোকে। অফিস চালু থাকায় গণপরিবহনে এদিন স্বাভাবিক সময়ের মতোই যাত্রীদের ভিড় দেখা যায়।
অবরোধের শুরুর দিকে নগরের গণপরিবহনসহ ব্যক্তিগত যান কম চলাচল করতো। গণপরিবহনে দুর্বৃত্তদের আগুন দেওয়ার ঘটনায় সাধারণ মানুষও প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হতো না। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই অবরোধের প্রভাব কমতে শুরু করে।
যেকোনো পরিস্থিতি এড়াতে এবং নগরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রতিটি মোড় ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
নগরের আগ্রাবাদ থেকে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী সাব্বির আহমেদ তনু বলেন, শুরুর দিকে অবরোধের প্রভাব থাকলেও এখন আর তা নেই। সড়কে স্বাভাবিকভাবেই যানবাহন চলাচল করছে। সিগনালগুলো পার হতে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। তবে যানজট নেই।
একই কথা বলেন মোটরসাইকেলে রাইড শেয়ারিং করা রনি। তিনি বলেন, রিকশা, বাস, সিএনজিসহ সব যানবাহনই সড়কে চলছে। শুরুতে গাড়িতে আগুন দেওয়ার কারণে মানুষের মনে ভয় ছিল। তখন মানুষ বাসে কম উঠত। এখন মানুষের মনে ভয় কমে গেছে।
জামালখানে টেম্বুর জন্য অপেক্ষায় থাকা রাজিব হোসেন বলেন, অবরোধ চললেও তো এর মধ্যে নিয়মিত অফিস যাচ্ছি। শীতের সকালে বাস পাব কি না, এই ভেবে দুশ্চিন্তায় ছিলাম। কিন্তু দেখছি টেম্পিু চলে এসেছে।
র্মাসা পরিবহনের হেলপার বলেন, দু-একটি বাসে আগুনের ঘটনা ঘটলেও এখন সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক। অবরোধের প্রভাব নেই বললেই চলে।
প্রসঙ্গত, ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশ পণ্ড হওয়ার পর ২৯ অক্টোবর সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল দেয় বিএনপি।
এরপর থেকে দলটি কখনো অবরোধ, কখনো হরতালের মতো কর্মসূচি পালন করে আসছে।
হিমেল ধর/জেএন/আর এস