পেঁয়াজের মূল্য স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে চট্টগ্রামে সকল উপজেলাসহ মহানগরের গুরুত্বপূর্ণ পাইকারী ও খুচরা বাজারে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
তারই ধারাবাহিকতাই আজ মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) নগরের বিভিন্ন স্থানে জেলা প্রশাসনের ৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানে মূল্যতালিকা না টানানো ও ক্রয় বিক্রয় চালান দেখাতে না পারায় মোট ১৬টি মামলায় ৬৪ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও ব্যবসায়ীদের সুস্পষ্ট নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা যায়, আগ্রাবাদ চৌমুহনীর কর্ণফুলী মার্কেট ও আশেপাশের এলাকায় পরিচালিত অভিযানের নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম।
তিনি জানান, পেঁয়াজের মূল্য ও মজুদ পর্যবেক্ষণ এবং নিয়ন্ত্রণের লক্ষে এ অভিযান। অভিযানে কারো কাছ থেকে জরিমানা আদায় না করে কর্ণফুলী মার্কেটের প্রায় অর্ধশত দোকানকে সতর্ক করা হয়।
তাছাড়া ২ কেজির বেশি পেঁয়াজ একজন ক্রেতাকে বিক্রি না করার ব্যাপারেও সচেতন করা হয়। এছাড়াও খুচরা পর্যায়ে মূল্য বর্তমান পেঁয়াজের মজুদ অনুযায়ী ১২০ টাকার বেশি যাতে বিক্রি না করে সে মার্কেট কমিটি সকল ব্যবসায়ীকে সতর্ক করা হয়।
অন্যদিকে পাহাড়তলি বাজারে অভিযান চালায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিমাদ্রী খীসা। এ সময় তিনি ৮টি মামলায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক অভিযান পরিচালনা করেন নগরীর ২ নং গেইট সংলগ্ন কর্ণফুলী বাজারে। অভিযানে ক্রয় বিক্রয় রসিদ অসংরক্ষণ ও উচ্চমূল্যে পেঁয়াজ বিক্রির দায়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ ২০০৯ আইনে ফিরোজ স্টোরকে ১০হাজার এবং আবদুল হাকিম, খাজা স্টোরকে-১০ হাজার করে মোট ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
নগরীর চাক্তাই বাজারে অভিযান চালান এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রাকিবুল ইসলাম তিনি ১টি মামলায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
চট্টগ্রাম নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করেন ম্যাজিস্ট্রেট খায়রুল ইসলাম। অভিযানে ২টি দোকানে ৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
তাছাড়া এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ফেরদৌস আরার নেতৃত্বে কাজির দেউড়ি বাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকালে ৩ মামলায় ৬ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, পাইকারি বাজারের পাশাপাশি খুচরা বাজারেও মনিটরিং করা হচ্ছে। ১৫ টি উপজেলা ও মহানগরে ২১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বাজার মনিটরিংসহ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছেন।
দাম নিয়ন্ত্রনে না আসা প্রর্যন্ত ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
জেএন/রাজীব