চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে জাহাজ ভাঙা কারখানায় গেল এক বছরে ছোট-বড় ৩৫টি দুর্ঘটনায় ৭ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ হারিয়ে আহত হয়েছেন আরও ২৯ জন।
এনজিও সংস্থা বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) আয়োজনে জাহাজ ভাঙা শিল্পে শ্রমিকদের পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা এবং গ্রিভ্যান্স সংক্রান্ত তথ্য ভিত্তিক প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে আসে।
সোমবার বিকেলে আয়োজিত এক সেমিনারে এসব তথ্য উপস্থাপন করেন বিলস–ডিটিডিএ প্রকল্পের ওশ সেন্টারের কো–অর্ডিনেটর ফজলুল কবির মিন্টু।
প্রতিবেদনে ফজলুল কবির মিন্টু আরও উল্লেখ করেন, জাহাজ ভাঙা শিল্পে অব্যাহত দুর্ঘটনার পরও এখনো শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ীকরণ বিষয়টি এখনো অবহেলিত।
তবে আশার কথা হচ্ছে যে শিপইয়ার্ডগুলো এখন গ্রিন ইয়ার্ড হচ্ছে। তাই দুর্ঘটনা পূর্বের তুলনায় কমেছে। আগামীতে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার হলে দুর্ঘটনা আরও কমে যাবে।
ইপসার মানব সম্পদ কেন্দ্রে স্থানীয় শ্রমিক নেতা, পেশাজীবীদের নিয়ে আয়োজিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর।
এতে সভাপতিত্ব করেন জাহাজ ভাঙা শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফোরামের আহ্বায়ক তপন দত্ত। স্বাগত বক্তব্য দেন বিলস পরিচালক কোহিনূর মাহমুদ।
সেমিনারে বক্তব্য দেন সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবের সভাপতি সৌমিত্র চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক লিটন কুমার চৌধুরী, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা লুৎফুন নেছা বেগম, উপজেলা সমাজ যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. শাহ আলম, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের জ্যৈষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা মো. নুরুল আলম দুলাল, সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক কর্মকর্তা ডা. মো. সালাউদ্দিন।
আরও বক্তব্য—জাহাজ ভাঙা শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফোরামের যুগ্ম আহ্বায়ক এ এম নাজিম উদ্দিন, জাহাজ ভাঙা শ্রমিক সেফটি কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট জহির উদ্দিন মাহমুদ, যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবুল আলম চৌধুরী, দিদারুল আলম চৌধুরী, সদস্যসচিব মোহাম্মদ আলী, যুগ্ম সদস্যসচিব, মোহাম্মদ ইদ্রিস, সদস্য মো. শহিদুল ইসলাম, মো. মানিক মন্ডল, মো. আবদুর রহিম, সাংবাদিক শেখ সালাউদ্দিন, সঞ্জয় চৌধুরী ও ইমাম হোসেন স্বপন প্রমুখ।
জেএন/পিআর