নোয়াখালীর হাতিয়ায় ধানখেত থেকে বিষধর ‘রাসেলস ভাইপার’ সাপ পাওয়া গেছে। জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ থেকে কল পেয়ে বনবিভাগ সাপটি উদ্ধার করে।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সাপটিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ভেনম রিসার্চ সেন্টারে প্রেরণ করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন উপকূলীয় বন বিভাগ নোয়াখালীর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু ইউসুফ।
জানা যায়, মাঝারি আকৃতির রাসেলস ভাইপার সাপটিকে হাতিয়া উপজেলা চানন্দী ইউনিয়নে সাঈদপুর গ্রামের আজাদের বাড়ির পাশে ধানখেতে অজগর ভেবে ধরে এলাকাবাসী।
পরবর্তী সময়ে ৯৯৯-এ কল দিয়ে বিষয়টি উপকূলীয় বন বিভাগ নোয়াখালীর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু ইউসুফকে জানানো হয়।
তিনি সুবর্ণচর উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেনকে ঘটনাস্থলে প্রেরণ করেন। আনোয়ার হোসেন সাপটি উদ্ধার করে উপকূলীয় বন বিভাগ নোয়াখালীর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু ইউসুফের কাছে হস্তান্তর করেন।
পরবর্তী সময়ে সাপটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ভেনম রিসার্চ সেন্টারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
সুবর্ণচর উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন জানান, কয়েকজন কৃষক খেতে ধান কাটছিলেন। এ সময় তারা সাপটি দেখতে পান। পরে সবাই মিলে সাপটিকে আটক করে বস্তায় ভরেন। তারা অজগরের বাচ্চা মনে করে ৯৯৯-এ কল করেন। আমি উদ্ধার করে সাপটিকে উপকূলীয় বন বিভাগ নোয়াখালী অফিসে হস্তান্তর করি।
উপকূলীয় বন বিভাগ নোয়াখালীর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু ইউসুফ জানান, ‘রাসেলস ভাইপার’ সাপটি খুবই বিষধর ও দুর্লভ সাপ।
দেশের রাজশাহী, নাটর, নওগাঁ, দিনাজপুর, ফরিদপুর, শরীয়তপুর জেলায় এই ধরনের সাপ দেখতে পাওয়া গেলেও নোয়াখালীতে এটি দেখা যায়নি। হয়তো বন্যার পানির সঙ্গে ভেসে সাপটি এখানে চলে এসেছে।
তিনি আরও জানান, এটি গবেষণার কাজে ব্যবহারের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের রিসার্চ সেন্টারে হস্তান্তর করা হয়েছে, যাতে করে তারা রিসার্চ করে এন্টিভেনম তৈরি করতে পারে।
যারা এই সাপটি না মেরে বাঁচিয়ে রেখেছে আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই। পাশাপাশি এ ধরনের বিষধর সাপ দেখতে পেলে বিশেষজ্ঞদের জানানোর পরামর্শ দিচ্ছি।
সাধারণ মানুষকে এ ধরনের সাপের নিকট থেকে দূরে থাকার অনুরোধ জানান এ বন কর্মকর্তা।
জেএন/পিআর