কথায় বলে, চোরের দশদিন, গৃহস্থের একদিন। বান্দরবানের আনন্দ স্কুলের সাত শিক্ষার্থী প্রবাদের অর্থটা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন। আরেকটা পরীক্ষা ভালোয় ভালোয় কাটিয়ে দিতে পারলে হয়তো হয়েই যেতো। কিন্তু তীরে এসেই ডুবল তাদের তরী। ধরা পড়ে বহিষ্কার হয়েই তাদের পরীক্ষার হল ছাড়তে হয়েছে।
বান্দরবানের আলীকদম উপজেলায় পিইসি (প্রাথমিক সমাপনী) পরীক্ষায় ৭ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সোমবার (২৬ নভেম্বর) পরীক্ষার শেষ দিনে ভুয়া পরীক্ষার্থী হিসেবে শনাক্ত হওয়ায় তাদের বহিষ্কার করেন আলীকদম উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
পরীক্ষার্থীরা সবাই মাধ্যমিক স্কুলের ৯ম, ৮ম ও ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। রিচিং আউট অব স্কুল চিলড্রেন (রস্ক) প্রকল্পভুক্ত বিভিন্ন ‘আনন্দ স্কুল’ থেকে ভুয়া পরীক্ষার্থী সেজে তারা পরীক্ষা দিয়েছিল। বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হল- নুর ফাতেমা বেগম, রোল নং- ম-৫৩৪, হালিমা বেগম, রোল নং- ম-৫২৩, জান্নাতুল ফেরদৌস, রোল নং- ম-৫১৫, রুজিনা তংচংগ্যা, রোল নং- ম-৫৯৪, আয়েশা সিদ্দিকা, রোল নং- ম-৫১৬, সাবিনা আক্তার, রোল নং- ম-৫৯৭ ও বিমল তারা তঞ্চঙ্গ্যা, রোল নং- ৫৯৬।
এসব শিক্ষার্থী পানবাজার তঞ্চঙ্গ্যা পাড়া, ভারত মোহন পাড়া আনন্দ স্কুল ও যতীন্দ্র পাড়াসহ একাধিক আনন্দ স্কুলের ভুয়া পরীক্ষার্থী সেজে পরীক্ষা দিয়ে আসছিল। তারা আলীকদম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্লাসের শিক্ষার্থী। পরীক্ষা চলাকালীন সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের হাজিরা খাতায়ও তারা অনুপস্থিত ছিল বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।
আলীকদম উপজেলায় এবার তিনটি কেন্দ্র থেকে ১২২২ জন ছাত্র-ছাত্রী পিইসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে ৫৬৫ জন ছাত্র এবং ৫৫৭ জন ছাত্রী। ইবতেদায়ীতে ৫৬ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে। এরমধ্যে ২৫ জন ছাত্র এবং ৩১ জন ছাত্রী।
সাত পিইসি পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সত্যতা নিশ্চিত করে আলীকদম উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাজিমুল হায়দার সাংবাদিকদের বলেন, এ ঘটনায় আরো তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।