একাদশ সংসদ নির্বাচনে ছয়টি আসনে সোয়া ২১ লাখ ভোটার ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। এ যন্ত্র নিয়ে অধিকাংশ দল বিরোধিতা করলেও শেষ পর্যন্ত ভোটে ইভিএম রাখল নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সূত্র জানায়, একাদশ সংসদ নির্বাচনে ৬টি আসনের ৯০০টি কেন্দ্রের প্রায় ৪২৬৭টি ভোটকক্ষে ইভিএমে ভোট হবে। প্রথমে ইসির পছন্দের তালিকায় ছিল ৪৮টি আসন। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৭টি আসন, ঢাকা দক্ষিণে ৭টি আসন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে ৩টি আসন এবং অন্য সিটি করপোরেশন এলাকার ১০টি আসন এবং জেলা পর্যায়ের সদর উপজেলার ২১টি আসন ছিল। এখান থেকে ৬টি আসন লটারিতে নির্ধারণ করে বাছাই করা হয়।
এরমধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে ১টি, দক্ষিণ সিটির ১টি, চট্টগ্রাম সিটির ১টি, অন্য সিটির ২টি এবং সদর উপজেলা থেকে ১টি আসন রয়েছে।
ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জানান, দেশের ৩০০ আসনের মধ্যে সীমিত পরিসরে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। এরমধ্যে মাত্র ৬টি আসন খুবই কম। পরীক্ষামূলকভাবে ইভিএম শহরাঞ্চলে ব্যবহার করা হবে।
ইসি সচিব বলেন, ইভিএম এই ছয়টি আসনে দেওয়ার মতো আমাদের সকল প্রস্তুতি আছে। আগামী ৩০ তারিখের মধ্যে চাহিদা অনুয়ায়ি ইভিএম আমরা পেয়ে যাব। যেখানে ইভিএম ব্যবহার করা হবে ওই এলাকায় পোলিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে সকল কর্মকর্তার ইভিএম সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে।
কমিশন জানিয়েছে, আসন প্রতি ১৫০ কেন্দ্র বিবেচনায় ৬টি আসনে ৯০০টি কেন্দ্রে ইভিএম হতে পারে। ভোটের অন্তত ২৫ দিন আগে এসব কেন্দ্রের তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশ করার কথা রয়েছে।
ইসির জনসংযোগ পরিচালক যুগ্মসচিব এস এম আসাদুজ্জামান জানান, ইভিএমের প্রতিটি ভোটকক্ষে একটি করে ইভিএম থাকবে। কোনো ধরনের ত্রুটি দেখা গেলে ‘স্ট্যান্ডবাই’ থাকবে তিনটি করে ইভিএম। ভোটের জন্য কমপক্ষে সাড়ে চার হাজার ইভিএম লাগবে। এর দ্বিগুণের বেশি প্রস্তুত রাখা হবে জরুরি প্রয়োজনে।