ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে বাসায় জমে থাকা গ্যাসের আগুনে দগ্ধ চিকিৎসাধীন বিনা রানী চক্রবর্তী (৪০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১০টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মৃত্যু হয় তার।
এর আগে সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের কুন্ডা ইউনিয়নের কাউটাইল ঋষিপাড়া এলাকার একটি চারতলা বাড়ির নিচ তলায় গ্যাস থেকে বিস্ফোরণ ঘটে।
এদিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে মারা যান বিনা রানীর মা উমা রানী। বিনার রানীর শরীরের ৮৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
বিনার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. তরিকুল ইসলাম।
বিস্ফোরণ দগ্ধ হয়েছিলেন উমা রানী চক্রবর্তী (৬০), তার মেয়ে বিনা রানী চক্রবর্তী (৪০), ছেলে দেবা চক্রবর্তী (২৮) ও নাতি পিনাক চক্রবর্তী (১৫)।
তাছাড়া বিস্ফোরণে দেয়ালের ইটের আঘাতে আহত হন পথচারী ঝালমুড়ি বিক্রেতা স্বপন রাজবংশী (৫৫) ও প্রতিবেশী লিপি চক্রবর্তী (৩০)।
ঘটনার পর উমা রানীর নাতনি জ্যোতি দাস জানান, চার তলা বাড়িটি তাদের নিজেদের। নিচতলায় থাকেন ওমা রানী এবং তার ছেলে ও মেয়ের পরিবার।
সকালে উমা রানি রান্নার জন্য রান্নাঘরে যান। সেখানে গিয়ে দিয়াশলাই জ্বালাতে বিকট বিস্ফোরণ হয়। আর বাসার দেয়াল কিছু অংশ ভেঙে পড়ে যায়। পরে দগ্ধদেরকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসেন।
তবে ঘটনার দিন রাতে মৃত বিনা রানীর ভাই সঞ্জয় চক্রবর্তী অভিযোগ করেন, তার ছোট ভাই দেবা চক্রবর্তী মাদকাসক্ত। প্রায়ই টাকার জন্য পরিবারের লোকজনকে মারধর করতেন। এমনকি মা-বাবাকে মারধর করছে।
সোমবার মাদকের টাকার জন্য বাড়ির লোকজনকে ঘরে আটকে রেখে বাসার গ্যাসলাইন খুলে দিয়ে এরপর আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে দেবাসহ দগ্ধ হন তাদের মা, বোন ও সঞ্জয়ের ছেলে পিনাক।
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. তরিকুল ইসলাম আরও জানান, দগ্ধ দেবা চক্রবর্তীর শরীরের ১৬ শতাংশ, ও পিনাক চক্রবর্তীর ২৪ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। পাশাপাশি তাদের শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। তাদের সবার অবস্থায়ই আশঙ্কাজনক।
জেএন/পিআর