বাতাসে হিমের পরশ লাগার সঙ্গেসঙ্গেই ত্বকে সেই হিমেল হাওয়ার প্রভাব নিয়ে আমরা সচেতন হয়ে পড়ি। শীতে বাতাসের আর্দ্রতা কমতে শুরু করায় শুষ্ক ত্বক আরও শুষ্ক হতে শুরু করে। ত্বকের ময়েশ্চার কমে গিয়ে ত্বক রুক্ষ ও মলিন হয়ে পড়ে।
যাদের ত্বক সারাবছর শুষ্ক থাকে, তাদের শীত শুরু হওয়ার আগে থেকেই ত্বকের বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিত।
আপনার ত্বক যে প্রকৃতিরই হোক না কেন, শীতজুড়ে একদিন অন্তর ব্যবহার করতে পারেন এই প্যাকটি। এতে ত্বক তো শুষ্ক হবেই না, বরং এই শীতেও ত্বকে আসবে আলাদা জেল্লা।
একটি কাঁচের পাত্রে ডিমের সাদা অংশ ও তিন চামচ মধু মিশিয়ে নিন। মধু ঘন, তাই অল্প জল দিয়ে ফেটিয়ে মিশ্রণটি পাতলা করে নিন। ত্বকে মিনিট দশেক ম্যাসাজ করার পর পনেরো মিনিট অপেক্ষা করুন। মধু এমনিতেই প্রাকৃতিক টোনার ও ময়শ্চারাইজার। তার সঙ্গে ডিমের সাদা অংশের প্রোটিন ত্বকের মৃত কোষ সরিয়ে নতুন কোষে আর্দ্রতা পৌঁছে দেয়। তাই এই প্যাক শীতে খুবই কার্যকর। প্যাক শুকিয়ে গেলে ভালো করে ঠাণ্ড জলে মুখ ধুয়ে নিন। যাদের ডিমের গন্ধে অসুবিধা হয়, তারা মুখ ধোওয়ার সময় ময়শ্চারাইজার আছে এমন ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন।
মধু ও ডিম আমাদের বাড়িতে প্রায় সারা বছরই থাকে। মধু ও ডিম সবরকম ত্বকের উপযোগী। তবে ডিমে অ্যালার্জি থাকলে এই প্যাকে ডিমের বদলে টক দইও ব্যবহার করতে পারেন।