ভোট বর্জনে তিন দিনের গণসংযোগ শেষে বিএনপি ও সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর একদিনের কঠোর অবরোধ শুরু হয়েছে।
রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) দিনব্যাপী সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালন করবে দলগুলো। এর আগে ২৩ ডিসেম্বর সর্বাত্মক অবরোধের ঘোষণা দেয় বিএনপি। এতে সায় দেয় জামায়াত ও সমমনা দলগুলো।
এদিকে অবরোধে সকাল থেকে চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন সড়কে যানবাহন চলতে দেখা গেছে, স্বাভাবিক দিনের থেকে কিছুটা গণপরিবহন কম থাকলেও অবরোধের তেমন কোন প্রভাব পড়েনি চট্টগ্রাম নগরজুড়ে।
সরজমিনে নিউমার্কেট, চকবাজার, লালখান বাজার, দেওয়ান হাট, বহদ্দারহাট, কাস্টম, বন্দরটিলা, অলংকার এলাকা ঘুরে দেখা গেছে প্রতিদিনের মত যানবাহন চলছে এসব এলাকায়, থেকে থেকে স্বাভাবিক দিনের মত যানজটও লক্ষ্য করা গেছে।
এছাড়া সিএনজি, ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যাও বেশি দেখা গেছে। তবে নাশকতা ও ঝামেলা এড়াতে সড়কে মানুষের কম বেরিয়েছে।
অবরোধের বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ খবর নিতে কথা হয় বেশ কয়েকজন বাস চালক ও পথচারীদের সাথে, অবরোধের প্রভাব তেমন দেখা না গেলেও মানুষের মাঝে একটি লুকানো ভয় কাজ করছে বলে জানান তারা।
নগরীর ৪ নং সিটি সার্ভিস বাস চালক রহিম মিয়া বলেন, ‘আমরা ভয় নিয়ে গাড়ি নিয়ে বের হইছি, জানি না কখন কে আগুন দিবে, কখন ভাঙচুর করবে, রাস্তায় তেমন প্রভাব না থাকলেও আমাদের ভয় তো আছে।
পথচারী আশিক রহমান বলেন, পেটের তাগিদে ঘর থেকে বের হতে হয়, নয়ত এমন অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে কেউ বের হতো না, মনে সব সময় একটা আতঙ্ক বিরাজ করে। জানি না দেশ কোন দিকে যাচ্ছে।
গত অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে হামলার প্রতিবাদে ২৯ অক্টোবর সারা দেশে হরতালের ডাক দেয় বিএনপি। এরপর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির শীর্ষ পর্যায়ের নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পরে সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন ও গ্রেফতার নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে অবরোধ ও হরতালের মতো কর্মসূচি দিয়ে যাচ্ছে বিএনপি ও জামায়াতসহ সমমনা দলগুলো।
জেএন/পিআর