বিএনপি ও সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর ডাকা অবরোধ ও হরতাল কর্মসূচিতে গত ২৮ অক্টোবর থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫৮ দিনে ২৮৯টি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
এসব অগ্নিসংযোগে ২৮৫টি যানবাহন এবং ১৫টি স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত যানবাহনের মধ্যে ৪৫টি ট্রাক, ২৩টি কাভার্ড ভ্যান, আটটি মোটরসাইকেল এবং ২৯টি অন্যান্য গাড়ি রয়েছে।
রবিবার ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া বিভাগ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রবিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত চারটি যানবাহনে আগুন দেয় অবরোধকারীরা। এ সময়ের মধ্যে রাজধানীতে তিনটি এবং কুমিল্লায় একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়।
এসব আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের আটটি ইউনিট এবং ৪০ জন সদস্য কাজ করেছেন।
গত ২৮ অক্টোবর নয়া পল্টনে বিএনপির পণ্ড হয়ে যাওয়া মহাসমাবেশের পর বিএনপিসহ সমমনা জোটদলগুলো চার দফায় পাঁচ দিন হরতাল এবং এ পর্যন্ত ১২ দফায় ২৩ দিন অবরোধ কর্মসূচি পালন করে।
এসব কর্মসূচিতে যানবাহনে আগুন দেয়া হচ্ছে। রোববারও দিনদুপুরে রাজধানীর জুরাইনে একটি বাসে আগুন দেয় অবরোধকারীরা। এর আগে শনিবার রাতে রাজধানেীতে তিনটি বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণার পর থেকে রেলে একাধিক নাশকতার ঘটনা ঘটেছে।
গত ১৩ ডিসেম্বর ভোরে গাজীপুরের শ্রীপুরে রেল লাইন কেটে ফেলায় মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনসহ সাতটি বগি লাইনচ্যুত হয়। নিহত হন একজন। আহত হন ১০ জনের বেশি।
১৬ ডিসেম্বর টাঙ্গাইলের ঘারিন্দা রেলস্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি কমিউটার ট্রেনে আগুন দেয় নাশকতাকারীরা। এতে ট্রেনটির দু’টি বগি পুড়ে যায়। আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয় ট্রেনটির আরেকটি বগি।
এছাড়াও ১৯ নভেম্বর জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী এলাকায় যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেনের তিনটি বগিতে এবং ২২ নভেম্বর সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা উপবন ট্রেনের একটি বগিতে আগুন দেয় নাশকতাকারীরা।
জেএন/পিআর