নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে যাত্রীবাহী একটি বাসের সাথে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে মোটরসাইকেল আরোহী বাবা-ছেলের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছে অপর এক ছেলে।
এদিকে সংঘর্ষের পর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জননী পরিবহনের বাসটি খালে পড়ে গেলে আরও ১২ জন যাত্রী আহত হয়। আহতদের উপজেলার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
নিহতরা হলেন, লিটন চন্দ্র দেবনাথ (৪৬) ও তার ছেলে প্রান্ত দেবনাথ (১০)। তার আরেক ছেলে প্রতাপ দেবনাথ (১৩) গুরুতর আহত হয়েছেন। লিটন উপজেলার জয়াগ ইউনিয়নের ভাটপাড়া গ্রামের সুনীল চন্দ্র দাসের ছেলে।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার জয়াগ ইউনিয়নের চাটখিল টু সোনাইমুড়ী সড়কের জুনুদপুর বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জয়াগ বাজার থেকে পল্লী চিকিৎসক লিটন চন্দ্র দেবনাথ তার দুই ছেলে প্রতাপ দেবনাথ ও প্রান্ত দেবনাথকে নিয়ে সকাল ১০টার দিকে নিজের বাড়ির উদ্দেশ্যে মোটরসাইকেল যোগে রওয়ানা দেয়।
যাত্রা পথে মোটরসাইকেলটি উপজেলার জয়াগ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ছোটকেগনা জুনুদপুর পোলের গোড়া এলাকায় পৌঁছালে নোয়াখালী গামী বেপরোয়া গতির জননী বাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এতে পল্লী চিকিৎসক লিটন ও তার দুই ছেলে গুরুত্বর আহত হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক লিটন ও তার ছোট ছেলেকে মৃত ঘোষণা করে।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এতে এখন পর্যন্ত বাবা-ছেলে সহ ২ জন নিহত হয়েছে। পল্লী চিকিৎসকের বড় ছেলে প্রতাপও গুরুত্বর আহত হয়।
বাসের চালক পালিয়ে গেলেও ঘটনাস্থল থেকে বাসটি আটক করা হয়েছে। পরবর্তীতে এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেএন/পিআর