আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে খুব বেশি সহিংসতা হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
ভোটের ৯ দিন আগে বৃহস্পতিবার এ মন্তব্য করেন সিইসি। এর আগে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের বৈঠক করেন তিনি।
প্রায় দেড় ঘণ্টার বৈঠক শেষে কাজী হাবিবুল আউয়াল সাংবাদিকদের বলেন, দলগুলোর মধ্যে আস্থা থাকা দরকার। আস্থার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে না পারলে সহিংসতা থেকে যাবে।
‘প্রার্থী বা প্রশাসনের কাছ থেকে খুব বেশি অভিযোগ পাইনি। মোটাদাগে খুব বেশি সহিংসতা হয়নি। একদমই হয়নি তা না। এ বিষয়ে আমরা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি যাতে সহিংসতা না হয়।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, কেন্দ্রে যাতে কোন বাইরের লোক প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য গণমাধ্যমসহ সবাইকে দায়িত্ব নিতে হবে। তাহলে নির্বাচন একটি দৃশ্যমান গ্রহণযোগ্যতা পাবে।
আগামী সাত জানুয়ারি হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট। প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণায় ভোট উৎসব চলছে সারাদেশে। ৩শ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২৭টি রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র থেকে এক হাজার ৮৯৫ জন প্রার্থী।
তবে প্রচার-প্রচারণায় আচরণবিধি লঙ্ঘনসহ মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে বলেও অনেকের অভিযোগ। আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে প্রায় ২০০ প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
মানবাধিকার কমিশন ও নির্বাচন কমিশনের বৈঠক প্রসঙ্গে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, সহিংসতা থেকে সরে এসে অহিংস পথে ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করতে কাজ করবে দুই কমিশন।
ইসির সঙ্গে বৈঠকে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে আট সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেন। আর ইসি কর্মকর্তাদের নেতৃত্ব দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।
বৈঠক শেষে মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের বলেন, ভোট দেওয়া যেমন অধিকার তেমনি, ভোট না দেওয়াও একটি অধিকার।
জেএন/পিআর