গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে করা শ্রম আইন লঙ্ঘনের অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে।
শ্রম আইন লঙ্ঘনের যেসব ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে, তাতে সর্বোচ্চ সাজা ছ’মাসের কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। এই বিধান অনুযায়ী ড. ইউনূসের ছয় মাসের কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন বিচারক।
সোমবার (১ জানুয়ারি) মোট ৮৪ পৃষ্ঠার রায়ের মূল অংশ পড়ার সময় ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক এ কথা বলেন।
ড. ইউনূস ছাড়াও এই মামলার বাকি তিন বিবাদী হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান। সবার বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘন প্রমাণিত হয়েছে।
সোমবার (১ জানুয়ারি) দুপুর ২টা ১২ মিনিটে ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক আসন গ্রহণ করেন। পরে দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে মোট ৮৪ পৃষ্ঠার রায়ের মূল অংশ পড়া শুরু হয়।
এর আগে ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা গত ২৪ ডিসেম্বর রায় ঘোষণার এই দিন ধার্য করেছিলেন। ওই দিন মামলার আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্কসহ চূড়ান্ত শুনানি গ্রহণ শেষ হয়।
২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।
অভিযোগের জবাবে আত্মপক্ষ সমর্থন করে ৯ নভেম্বর ড. ইউনূসসহ চারজন বিবাদী লিখিতভাবে আদালতকে বলেন, গ্রামীণ টেলিকমের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয় নিজস্ব নীতিমালা অনুযায়ী। কারণ, গ্রামীণ টেলিকম যেসব ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে, সেগুলো চুক্তিভিত্তিক।
আদালতে দেওয়া লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানি আইনের ২৮ ধারা অনুযায়ী একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। এর লভ্যাংশ বিতরণযোগ্য নয়, সামাজিক উন্নয়নে ব্যয় করা হয়।
জেএন/পিআর