দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
রোববার সকালে নিজ গ্রাম বড় রাজাপুরের উদয়ন প্রি-ক্যাডেট স্কুলে ভোট দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
ভোট দিয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ উৎসবমূখর পরিবেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকাল থেকে যতোগুলো কেন্দ্রের খবর নিয়েছি, জানতে পেরেছি সুন্দর ভোট হচ্ছে।
বিএনপির ভোট বর্জন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির ভোট বর্জন এটাই প্রমাণ করেছে ভোটাররা তাদের বর্জন করেছে।
সারাদেশে যে শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি বিরাজ করছে- যারা ভোট বর্জন করতে নাশকতার আশ্রয় নিয়েছে, ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণই প্রমাণ করছে, ভোটারেরা তাদেরই বর্জন করেছে।
নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্রের প্রাণ হচ্ছে নির্বাচন। নির্বাচন হতে হবে প্রতিযোগিতামূলক।
অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে- এটা আমাদের গণতন্ত্রের জন্য সুখবর। নির্বাচন যতো বেশি প্রতিযোগিতামূলক হয় ততোই ভালো।
নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে তিনি বলেন, আপনারা এতো সাংবাদিক এখানে এসেছেন আপনারাই দেখেছেন কতটা শান্তিপূর্ণ। বিপুল সংখ্যক নারী পুরুষ ভোট দিচ্ছে।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয় সকাল আটটা থেকে। দেশের ২৯৯ টি আসনে সকাল আটটায় শুরু হয় ভোট উৎসব।
বিরতিহীন ভোট গ্রহণ চলবে বিকাল চারটা পর্যন্ত। প্রায় ১২ কোটি ভোটার নিজেদের রায়ে বেছে নেবেন নিজে নিজ এলাকার জনপ্রতিনিধি।
নওগাঁ-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল ইসলাম মারা যাওয়ায় ওই আসনের নির্বাচন স্থগিত করেছে ইসি। ফলে ৩শ’ আসনের মধ্যে ২৯৯ আসনে ভোট হবে।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এবারই প্রথমবারের মতো ভোটের দিন সকালে কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাঠানো হয়েছে। শুধু দুর্গম অঞ্চলের দুই হাজার ৯৬৪টি কেন্দ্রে ব্যালট পাঠানো হয়েছে ভোটের আগের দিন।
সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য স্থাপনায় মোট ৪২ হাজার ২৪টি ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে ভোটকক্ষের সংখ্যা ২ লাখ ৬১ হাজার ৯১২টি।
ভোটের নিরাপত্তা রক্ষায় মাঠ পর্যায়ে পুলিশ, র্যাব, আনসার-ভিডিপি, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ডসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ৮ লাখ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
ভোট গ্রহণের কাজে ৮ লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োজিত রয়েছেন। এছাড়াও স্ট্যান্ডবাই থাকছেন এক লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারী। তিন হাজার ম্যাজিস্ট্রেট ও বিচারক মাঠে থাকছেন। তারা যে কোনো অপরাধে তাৎক্ষণিক শাস্তি দিতে পারবেন।
এবার ভোটে রিটার্নিং অফিসার হিসেবে ৬৬ জন দায়িত্ব পালন করছেন। এর মধ্যে দুইজন বিভাগীয় কমিশনার এবং ৬৪ জন জেলা প্রশাসক।
জেএন/পিআর