দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ টানা চারবার এবং বাংলাদেশের ইতিহাসে পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।
বিশ্বে শেখ হাসিনাই সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ক্ষমতাসীন নারী সরকার প্রধান।
রোববার (৭ জানুয়ারি) দিনভর ২৯৯ আসনে ভোটগ্রহণ শেষে, রাতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘোষিত বেসরকারি ফলাফলে নৌকা প্রতীকের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের চিত্র উঠে আসে।
ঘোষিত ফল অনুসারে, ২৯৮ আসনের মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২২৩টি আসনে জয় পেয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন ৬১টি আসনে। ১১টি আসন পেয়েছে জাতীয় পার্টি। আর একটি করে আসন পেয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ, বাংলাদেশের কল্যাণ পার্টি ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি।
সরকার গঠন করতে জাতীয় সংসদের ১৫১টি আসন পেতে হয়। এক্ষেত্রে এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে। ফলে দলটিই টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করছে। সেক্ষেত্রে টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
নির্বাচনে মোট এক হাজার ৯৬৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এদের মধ্যে ২৮টি রাজনৈতিক দল এক হাজার ৫৩২ জন প্রার্থী দিয়েছে। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী ৪৩৭ জন। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে ঈগল প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ১৮০ জন, আর ট্রাক প্রতীক নিয়ে প্রতদ্বন্দ্বিতা করেছেন ১৩৩ জন, যাদের অধিকাংশই আওয়ামী লীগেরই নেতা।
অংশগ্রহণকারী দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রার্থী ছিল ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের। তাদের প্রার্থীর সংখ্যা ছিল ২৬৫। জাতীয় পাটির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী ছিলেন ২৬৪ জন। তৃণমূল বিএনপির সোনালী আঁশ প্রতীকের ১৩৫ জন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আম প্রতীকের ১২২ জন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ডাব প্রতীকের ৯৬ জন ও বাংলাদেশ জাতীয়বাদী আন্দোলনের (বিএনএম) নোঙ্গর প্রতীকের ৫৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
নির্বাচনের ফলাফল অনুযায়ী, তৃণমূল বিএনপি, বিএনএমসহ ২৩ দলের কোনো প্রার্থী নির্বাচনে জয়ী হতে পারেননি।
জেএন/হিমেল/এসএ