বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী নবনির্বাচিত সরকারের সঙ্গে রাজনীতি, মানবাধিকার, বাণিজ্য ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ)।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) রাতে ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিবৃতিতে বাংলাদেশে সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ইইউ তাদের অবস্থান পরিষ্কার করে।
বিবৃতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, মানবাধিকার ও আইনের শাসনের ভিত্তিতে ইইউ ও বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারিত্ব আবারো পুনর্ব্যক্ত করেছে। তবে একই সাথে নির্বাচনে সব বড় দল অংশ না নেওয়ায় ইইউ হতাশা প্রকাশ করেছে।
ইইউর পক্ষে ইউরোপের ২৭ দেশের এই জোটের উচ্চপদস্থ প্রতিনিধি জোসেপ বোরেলের বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে বিবিৃতিতে ইইউ তার নির্বাচন বিশেষজ্ঞ মিশনের আসন্ন প্রতিবেদন এবং সুপারিশগুলো প্রকাশ করার জন্য কর্তৃপক্ষের সমঝোতাকে স্বাগত জানায়।
এতে আরও বলা হয়, স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতার একই চেতনায়, নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ সময়মতো এবং পূর্ণ তদন্ত নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নিবে বলে আশা করে ইইউ।
বিবৃতিতে বলা হয় , ইইউ নির্বাচনকালে সংঘটিত সহিংসতার নিন্দা জানায় এবং নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে সহিংসতা থেকে বিরত থাকার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে।
এই সময়কাল এবং এর পরবর্তী সময়ে আইনের শাসন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা রাখাও গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে, বিরোধী নেতাকর্মীদের আটক অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
ইইউর বিবৃতিতে রাজনৈতিক বহুত্ববাদ, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের মানকে সম্মান করতে এবং শান্তিপূর্ণ সংলাপে সম্পৃক্ত হতে সব অংশীদারকে জোরালভাবে উৎসাহিত করা হয়।
এছাড়াও গণমাধ্যম, নাগরিক সমাজ এবং রাজনৈতিক দলগুলোর ‘সেন্সরশিপ’ বা প্রতিশোধের ভয় ছাড়াই কাজ চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ গুরুত্বপূর্ণ বলেও মনে করে ইইউ।
এ ছাড়াও ইইউর বিবৃতিতে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের ‘জিএসপি প্লাস’সহ অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য সুবিধা পাওয়াসহ রাজনৈতিক, মানবাধিকার, বাণিজ্য এবং উন্নয়ন ক্ষেত্রে আমাদের দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ককে চিহ্নিত করে এমন অগ্রাধিকার নিয়ে ইইউ বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাবে বলে জানায়।
জেএন/পিআর