প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার অভিযোগে করা মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জামিন পাননি। এই মামলায় তার জামিন প্রশ্নে রুল খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট।
বুধবার রুলের ওপর শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
এর আগে গত ২২ নভেম্বর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে মির্জা ফখরুলের জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়। এরপর জামিন চেয়ে গত পাঁচ ডিসেম্বর হাইকোর্টে আবেদন করেন তিনি।
আবেদনের শুনানি নিয়ে সাত ডিসেম্বর হাইকোর্ট জামিন প্রশ্নে রুল দেন। মামলায় মির্জা ফখরুলকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় রুলে। রাষ্ট্রপক্ষকে এক সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
গত ১৭ ডিসেম্বর মির্জা ফখরুলের আইনজীবীদের আরজির পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ রুল শুনানির জন্য তিন জানুয়ারি তারিখ ধার্য করেন।
সেদিন মির্জা ফখরুলের আইনজীবীর পক্ষে সময়ের আরজি জানানো হয়। আদালত ওই সপ্তাহের জন্য শুনানি মুলতবি করে আদেশ দেন। এর ধারাবাহিকতায় আজ রুলের ওপর শুনানি শেষে তা খারিজ করে রায় দেন হাইকোর্ট।
সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশ ডাকে বিএনপি।
ওই সমাবেশ থেকে পুলিশের ওপর হামলা, পুলিশ পিটিয়ে হত্যা, পুলিশ হাসপাতালে আগুনসহ প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা চালায় বিএনপির নেতাকর্মীরা।
একই সঙ্গে আশপাশের বাসভবনেও চালানো হয় হামলা, ভাঙচুর। পরদিন ২৯ অক্টোবর হরতালের ডাক দেয় বিএনপি।
২৯ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর গুলশানের বাসা থেকে বিএনপি মহাসচিবকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
আটকের প্রায় সাড়ে ৯ ঘণ্টা পর প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুরের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মির্জা ফখরুলকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।
আদালতে হাজির করা হলে ঢাকার মেট্রোপলিটন মাজিস্ট্রেট আদালত তার জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। সেই থেকেই কারাগারে রয়েছেন তিনি।
জেএন/পিআর