সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলি কলেজ ভোট কেন্দ্রের আশপাশে মারামারি ও গোলাগুলির ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এতে চট্টগ্রাম-১০ আসনের সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন বাচ্চুর স্ত্রী জিনাত মহিউদ্দিনসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের চতুর্থ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সালাউদ্দিনের আদালতে মামলাটি করেন গোলাগুলির ঘটনায় আহত ব্যক্তি শান্ত বড়ুয়া ওরফে পুনাম বড়ুয়া।
মামলা দায়েরের তথ্য নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট চতুর্থ আদালতের পেশকার তারিকুল ইসলাম জানান, ভোটের দিনের মারামারি ও গোলাগুলির ঘটনায় মামলাটি করা হয়েছে।
আদালত অভিযোগটি গ্রহণ করে তা তদন্ত করতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, পাহাড়তলি ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন হিরণ ও তার স্ত্রী মোসাম্মৎ কাজল, মাহমুদুর রহমান, মো. কামাল ও রাবেয়া মুন্নী মেরি। তারা সবাই এমপি মহিউদ্দিন বাচ্চুর অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
ভোটের দিন পাহাড়াতলি কলেজ কেন্দ্রে গুলির ঘটনায় আহত দুজনের একজন শান্ত। তিনি নগরীর ওমরগণি এমইএস কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
আদালতে দায়ের করা মামলার বাদী শান্ত নিজেকে চট্টগ্রাম-১০ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মনজুর আলমের সমর্থক বলে উল্লেখ করেন।
মামলার অভিযোগে তিনি জানান, ভোটের দিন পাহাড়তলি ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্র থেকে মনজুর আলমের সমর্থকদের চলে যেতে বলে মহিউদ্দিন বাচ্চুর অনুসারীরা। এ সময় বাচ্চুর অনুসারীরা গুলি ছুঁড়লে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। এরপর অন্য আসামিরা তাকে মারধর করেন।
এর আগে একই ঘটনায় আরেক গুলিবিদ্ধ রিকশাচালক জামাল এর স্ত্রী বাদী ঘটনার পরদিন নগরীর খুলশী থানায় আরেকটি মামলা করেছিলেন।
সেই মামলায় গ্রেফতার শামীম আজাদ, পাহাড়তলি ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ওয়াসিম উদ্দিন ও তার স্ত্রী রুমানা চৌধুরীকে আসামি করা হয়।
ভোটের দিন প্রকাশ্যে গুলি করতে দেখা যাওয়া শামীম আজাদকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সীতাকুণ্ড থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
জেএন/পিআর