হুতি বিদ্রোহীদের নিশানা করে দ্বিতীয় দিনের মতো ইয়েমেনে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) রাতে হুতিদের একটি রাডারকেন্দ্রকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালিয়েছে মার্কিন বাহিনী। শনিবার দুজন মার্কিন কর্মকর্তার বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।
এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, শুক্রবার রাতে ইয়েমেনে সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতিদের রাডারকেন্দ্রেকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনী।
তবে এই কমকর্তা এ বিষয়ে আর বিস্তারিত কিছু জানাননি। লোহিত সাগরে বিদেশি জাহাজে আক্রমণ ঠেকাতে মার্কিন হামলার অন্যতম প্রধান লক্ষ্যবস্তু হুতিদের রাডার অবকাঠামো।
আরেকটি মার্কিন সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এই হামলা এককভাবে মার্কিন বাহিনী চালিয়েছে। মার্কিন নৌবাহিনীর একটি জাহাজ থেকে এই হামলা শুরু করা হয়।
এর আগে গতকাল শুক্রবার ভোরে ইয়েমেনে ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীটির বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় বিমান হামলা শুরু করার কথা জানায় যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা স্থানীয় সময় ভোরে ইয়েমেনের রাজধানী সানা বিমানবন্দর, তৃতীয় বৃহত্তম শহর তাইজ, লোহিত সাগরের প্রধান বন্দর হোদেইদাহের একটি নৌঘাঁটি ও উপকূলীয় হাজ্জাহ গভর্নরেটের সামরিক স্থাপনায় বিস্ফোরণের কথা নিশ্চিত করেছেন। এসব হামলায় পাঁচ হুতি যোদ্ধা নিহত হয়েছেন।
মূলত গত অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরু হলে হামাসের প্রতি সমর্থন জানায় হুতি বিদ্রোহীরা। তাদের সমর্থনের অংশ হিসেবে নভেম্বর থেকে লোহিত সাগরে ইসরায়েলগামী ও ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন জাহাজে হামলা করে আসছে তারা।
তাদের হামলার ভয়ে বিভিন্ন জাহাজ কোম্পানি হয় লোহিত সাগর এড়িয়ে ভিন্ন পথে গন্তব্যে যাচ্ছে নতুবা চুক্তিই বাতিল করে দিচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের হামলা সত্ত্বেও লোহিত সাগরে ইসরায়েলগামী জাহাজে হামলা অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছেন হুতিরা। এমনকি মার্কিন ও ব্রিটিশ হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে গোষ্ঠীটি। এ ছাড়া ইয়েমেনে হামলার প্রতিবাদে দেশটির রাজধানী সানায় কয়েক লাখ মানুষ বিক্ষোভ করেছেন।
হুতি নেতারা প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার করলেও শুক্রবার পেনসিলভানিয়ায় বাইডেন সতর্ক করে বলেছেন, ‘হুতিরা যদি তাদের আপত্তিকর ব্যবহার অব্যাহত রাখে তাহলে তাদের জবাব দেওয়া আমরা নিশ্চিত করব।’ বাইডেনের এমন হুঁশিয়ারির পরই ইয়েমেনে দ্বিতীয় বারের মতো হামলা চালাল মার্কিন বাহিনী।
জেএন/পিআর