আগামীকাল রোববার (১৪ জানুয়ারি) নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা প্রথম অফিস করবেন। এ দিন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের দায়িত্ব বুঝে নেবেন তারা।
এ ছাড়া কর্মকর্তা-কর্মচারী ও গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন নতুন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম প্রধান জানান, আগামীকাল (রোববার) প্রথম অফিস করবেন নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন।
তিনি জানান, মন্ত্রী সকাল ১০টায় প্রথমে মন্ত্রণালয়ে যোগদান শেষে দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন। সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরিচিত হবেন এবং মন্ত্রণালয় সম্পর্কে অবহিত হবেন। এরপর দুপুর ১২টায় মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা সৈয়দ মো. আব্দুল্লাহ আল নাহিয়ান জানান, আগামীকাল (রোববার) বেলা ১১টায় ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ সাংবাদিকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন এবং ভূমি ব্যবস্থাপনা ও ডিজিটালাইজেশন নিয়ে গণমাধ্যমে প্রারম্ভিক ব্রিফিং করবেন।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা সৈকত চন্দ্র হালদার জানান, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক আগামীকাল (রোববার) বেলা ১১টায় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।
এ ছাড়া অন্যান্য মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরাও রোববার প্রথম দিন অফিস করবেন বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) মন্ত্রিসভা গঠন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওইদিন সন্ধ্যায় শপথও নিয়েছেন নতুন সদস্যরা। এরপর তাদের দায়িত্ব বণ্টন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পূর্ণ মন্ত্রীদের মধ্যে আ ক ম মোজাম্মেল হককে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়; ওবায়দুল কাদেরকে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়; আবুল হাসান মাহমুদ আলীকে অর্থ মন্ত্রণালয়; আনিসুল হককে আইন মন্ত্রণালয়; নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনকে শিল্প মন্ত্রণালয়; আসাদুজ্জামান খানকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়; মো. তাজুল ইসলামকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়; মুহাম্মদ ফারুক খানকে বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়; মোহাম্মদ হাছান মাহমুদকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়; দীপু মনিকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়; সাধন চন্দ্র মজুমদারকে খাদ্য মন্ত্রণালয়; আবদুস সালামকে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও মো. ফরিদুল হক খানকে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়; নারায়ণ চন্দ্র চন্দকে ভূমি মন্ত্রণালয়; জাহাঙ্গীর কবির নানককে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়; মো. আবদুর রহমানকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়; মো. আবদুস শহীদকে কৃষি মন্ত্রণালয়; ইয়াফেস ওসমানকে (টেকনোক্র্যাট) বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়; সামন্ত লাল সেনকে (টেকনোক্র্যাট) স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়; মো. জিল্লুল হাকিমকে রেলপথ মন্ত্রণালয়; ফরহাদ হোসেনকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়; নাজমুল হাসানকে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়; সাবের হোসেন চৌধুরীকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং মহিবুল হাসান চৌধুরীকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া ১১ প্রতিমন্ত্রীর মধ্যে নসরুল হামিদকে বিদ্যুৎ বিভাগ; খালিদ মাহমুদ চৌধুরীকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়; জুনাইদ আহ্মেদকে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়; জাহিদ ফারুককে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়; সিমিন হোসেন রিমিকে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়; কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরাকে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়; মহিববুর রহমানকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়; মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়; শফিকুর রহমান চৌধুরীকে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়; রুমানা আলীকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং আহসানুল ইসলামকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
জেএন/পিআর