অব্যাহত পাহাড়ি হিম বাতাস ও ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। নতুন বছরের শুরুতে জেঁকে বসেছে শীত। কনকনে ঠান্ডায় স্থবির হয়ে পড়ছে জীবনযাত্রা।
রাতভর বৃষ্টির মতো কুয়াশা ঝরছে প্রতিদিনই, কমছে তাপমাত্রা। টানা ৬ দিন দেখা নেই সূর্যের। দুদিন ধরে চলছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহের দাপট। শীতের তীব্রতায় চরম ভোগান্তিতে উত্তরের হিমালয়কন্যা পঞ্চগড়ের প্রান্তিক মানুষ।
রোববার (১৪ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল ভোর ৬টায় ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল।
সকালে তাপমাত্রার রেকর্ডের তথ্যটি ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছেন জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ।
ঠান্ডার প্রকোপের কারণে খেতখামারে কাজ করতে পারছেন না চাষীরা। শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষদের মিলছে না প্রয়োজনীয় গরম কাপড়। রাস্তায় চলা ভবঘুরে মানুষরাও পড়েছে শীত দুর্ভোগে।
এদিকে শীতের কারণে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়াসহ শীতজনিত রোগ। গতকাল জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর ইউনিয়নে তালহা নামের এক শিশু ডায়রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে।
জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর আউটডোরে ঠান্ডাজনিত রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। চিকিৎসার পাশাপাশি শীতজনিত রোগ থেকে নিরাময় থাকতে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করছেন চিকিৎসকরা।
জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, আজও ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন পঞ্চগড়। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ঘন কুয়াশার কারণে দেখা মিলছে না সূর্য। আজ ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কুয়াশা আর উত্তর-পূর্ব বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে যে বায়ু প্রবাহিত হওয়ার কারণে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। গতকাল বিকেলে সূর্য দেখা গেলেও সে রোদে ছিল না উষ্ণতা। বিকেল থেকেই আবার হিমেল বাতাস বইছে।
জেএন/পিআর