কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল সড়কে শ্রমিক বহনকারী একটি মাইক্রোবাস উল্টে ৭ সাতজন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল পৌনে সাতটার দিকে টানেল সড়কের বৈরাগ মোহাম্মদপুর এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
আহতরা হলেন- নিরাপত্তাকর্মী ও নৌবাহিনীর সদস্য গাজী মাহবুবুর রহমান রনি, মাইক্রোবাস চালক মো. রুবেল ৩০), যাত্রী আলী মর্তুজা, রাশেদুল করিম (৩০), ফারহানা, মুন্না ও কান্তি। এদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর।
আনোয়ারা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মহিউদ্দিন আহমেদ তথ্যটি নিশ্চিত করেন।
স্থানীয়দের বরাতে তিনি জানান, মাইক্রোবাসটি যাত্রী বোঝাই করে চট্টগ্রামের আনোয়ারা থেকে পতেঙ্গা যাচ্ছিলেন। টানেলের আনোয়ারা প্রান্তে তিন রাস্তার মুখে প্রবেশ পথে কুয়াশায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে।
একপর্যায়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিকিউরিটি বক্সে ধাক্কা দিয়ে সড়ক বিভাজকের সঙ্গে লেগে উল্টে যায়। আহত হয় মাইক্রোবাসের ৬ যাত্রী। তাছাড়া মাইক্রোবাসের ধাক্কায় বক্সটি ভেঙে চুরমার হয়ে যায় এবং পোস্টে দায়িত্বরত নৌবাহিনী সদস্য গাজী মাহবুব রহমান আহত হন।
স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে আহত নৌবাহিনীর ওই সদস্যকে সিএমএইচ একং বাকিদের আনোয়ারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়ে দেন।
আহতদের মধ্যে রুবেল ও রাশেদুল করিম নামে দুই ব্যাক্তির অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালের রেফার করার তথ্য দেন আনোয়ারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডাক্তার উপমা চৌধুরী।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নূরুল আলম আশেক জানান, মঙ্গলবার পৌণে আটটার সময় বঙ্গবন্ধু টানেলের আনোয়ারা প্রান্তের প্রবেশ পথে দুর্ঘটনায় আহত দুজনকে চমেক হাসপাতালে আনা হয়।
জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালের ২ নং ক্যাজুয়ালিটি ওয়ার্ডে ভর্তি করে নেন।
দুর্ঘটনাস্থল থেকে মাইক্রোবাসটি জব্দ করা হয়েছে এবং এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানায় আনোয়ারা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মহিউদ্দিন আহমেদ।
জেএন/পিআর