মালয়েশিয়ায় রিক্যালিব্রেসি আরটিকে ২.০ প্রোগ্রামের দ্বিতীয় ধাপে চলছে অনথিভুক্ত অভিবাসীকর্মীদের বৈধকরণ কার্যক্রম। আর এ প্রোগ্রামের মাধ্যমে বৈধতা নিতে গিয়ে আটক হলেন ২৭ বাংলাদেশি।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় রাত ৮টায় দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২৭ বাংলাদেশি তাদের পাসপোর্টের তথ্য বেআইনিভাবে সংশোধন ও পরিবর্তন করেছেন।
এজন্য তাদের আটক করা হয়েছে। এ সময় স্থানীয় এক নারীকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। তার বয়স ৩৯ বছর।
মালয়েশিয়ায় একবার বৈধতা গ্রহণ করার পর পাসপোর্টের যাবতীয় তথ্য ফিঙ্গার প্রিন্টসহ ইমিগ্রেশন সার্ভারে সংরক্ষিত থাকে।
দ্বিতীয়বার ফিঙ্গারপ্রিন্ট করলেই স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে তার বিস্তারিত তথ্য কম্পিউটার মনিটরে ভেসে আসে। বৈধতা গ্রহণের জন্য দ্বিতীয়বার ফিঙ্গার প্রিন্ট করার পর ইমিগ্রেশনের সার্ভারে যে তথ্য পাওয়া গেছে।
তাতে দেখা গেছে ওই শ্রমিকরা প্রথমবার বৈধতা গ্রহণের সময় যে পাসপোর্টের তথ্য দিয়ে দিয়েছেন ওই তথ্যের সাথে নবায়ন করা নতুন পাসপোর্টের তথ্যে গড়মিল রয়েছে, এটা এক ধরনের জালিয়াতি ও প্রতারণা।
মালয়েশিয়ায় অনুমতি ছাড়া আগের পাসপোর্টের কোনো তথ্য সংশোধন বা পরিবর্তন করে নতুন পাসপোর্ট রিনিউ করা যাবে না এবং এ রকম জালিয়াতি করার প্রমাণ পাওয়া গেলে জেল জরিমানা হতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, মালয়েশিয়ার অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩-এর ৫১ ধারার অনুচ্ছেদ (৫)-এর (ক) উপধারায় স্থানীয় মালয়েশিয়ান নিয়োগকর্তাকে আটক করা হয়েছে এবং বাংলাদেশি ২৭ শ্রমিককে একই আইনের (খ) উপধারায় আটক করে পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য বুকিত জলিল ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হয়েছে।
জেএন/পিআর