বহুমুখী রপ্তানির মাধ্যমে বাণিজ্য বাড়াতে চান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। তিনি বলেন, ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার মূল উদ্দেশ্য গার্মেন্টসের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে রপ্তানিকে কিভাবে বহুমুখী করা যায়। চেষ্টা করব লোকাল যে শিল্প আছে সেগুলোকে আরও উৎসাহিত করতে। আমাদের রপ্তানি ৬ গুণ বেড়েছে।
আজ শনিবার (২০ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি) মেলা উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা বেশি উৎসাহিত করে বিদেশিদের আনি না। মাসব্যাপী তারা অনেকে আসতে চান না। তবে আমাদের লোকাল ইন্ড্রাষ্ট্রিগুলোকে পরিচিত করাটাই অন্যতম লক্ষ্য। আমাদের দেশে বিভিন্ন দূতাবাসের লোকজন আছেন, তাদের অনেকে মেলায় আসেন। এবার আমরা তাদের একসঙ্গে আনার বিষয়ে উদ্যোগ নেব।
এবার ভালো মেলা আয়োজনের আশার কথা জানিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, গত দুই বছর রাস্তার কিছুটা সমস্যা ছিলো। এবার রাস্তা অনেক ভালো, ফলে অনেক দর্শনার্থী আসবে বলে আশা করছি।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান বলেন, মেলাকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তার বিষয় থাকে। এ জন্য লোকবল নিয়োগ দিয়েছি। এ ছাড়া পুলিশ-আনসার থাকবে। প্রয়োজনে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে র্যাব কাজ করবে। পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য ১০০ জন ক্লিনার নিয়োগ করা হয়েছে। যাতায়াতের জন্য বিআরটিসির বাস থাকবে। এবার ফার্মগেট থেকেও বাসে উঠা যাবে।
ইপিবি জানিয়েছে, এবারের বাণিজ্যমেলায় দেশীয় পণ্যের পাশাপাশি ভারত, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, হংকং, সিঙ্গাপুর, নেপালসহ বিভিন্ন দেশ অংশ নেবে। পণ্য প্রদর্শনের পাশাপাশি দেশীয় পণ্য রপ্তানির বড় বাজার খোঁজার লক্ষ্য রয়েছে।
এসএ