চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় একটি দেশীয় তৈরী বন্দুক (এলজি)সহ চার যুবককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার কেঁওচিয়া ইউনিয়নের জনার কেঁওচিয়া ৯ নম্বর ওয়ার্ড মাদারবাড়ি এলাকায় সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল মন্নানকে গুলি করতে গিয়ে জনতার হাতে ধরা পড়ে এ চার যুবক।
আটককৃতরা হলেন, উপজেলার ঢেমশা ইউনিয়নের উত্তর ঢেমশা ৪ নম্বর ওয়ার্ড আলমগীর পাড়ার হারুনুর রশিদের ছেলে মোহাম্মদ ফয়সাল উদ্দিন (২৪), একই এলাকার মোহাম্মদ হারুনের ছেলে সামিউল হাসান সানজিদ (২৫), একই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড মাইজপাড়া এলাকার মোরশেদ আলমের ছেলে জাসেদ বিন সালেহ (২৩) ও একই এলাকার মো. হেলাল উদ্দিনের ছেলে শাহাদাত হোসেন মিশলু (২৩)।
সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল মান্নান বলেন, আমার গরুর খামারের কিছু দূরে গরুর জন্য এক একর জায়গায় ঘাসের চাষ করেছি। কয়েকদিন ধরে কে বা কারা জমির ঘাসগুলো কেটে নিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টা আমি স্থানীয় দোকানদারদের দেখতে বলি।
আজ সকাল সাড়ে ১১টার দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি ৪-৫ জন যুবক জমি থেকে ঘাস কাঁটছে। তাদেরনকাছে ঘাস কাটার কারণ জানতে চাইলে ওই যুবকরা আমার সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়ে। তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে ফয়সাল নামে এক যুবককে চড় মারলে সে খবর দিয়ে ১০-১৫ জন যুবককে নিয়ে আসে।
পরে তাদের সাথে থাকা অস্ত্র নিয়ে আমাকে গুলি করতে ধাওয়া করে। অবস্থা বেগতিক দেখে আমি অজ্ঞাতস্থানে আত্মগোপন করি। পরে চারদিক থেকে স্থানীয় জনতা সন্ত্রাসীদের ধাওয়া করে ৪ জনকে অস্ত্রসহ আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। অন্যরা পালিয়ে যায়।
আব্দুল মান্নান আরও বলেন, ঘটনাস্থল থেকে একটি অস্ত্র উদ্ধার করা হলেও সিসিটিভির ফুটেজে আরও ৩টি অস্ত্র সন্ত্রাসীদের হাতে দেখা গেছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী সাতকানিয়া থানার উপ-পরিদর্শক আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে জনতা কর্তৃক আটককৃত চার যুবককে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। এসময় ফয়সাল উদ্দিনের কাছ থেকে একটি এলজি উদ্ধার করা হয়।
সাতকানিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউল হক বলেন, অস্ত্র উদ্ধার ও গ্রেফতারের ঘটনায় সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল মান্নান বাদী হয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
জেএন/পিআর